এর আগে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে তিনি বিমান যোগে ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছান।
দুই সুফিসাধকের মাজার জিয়ারতের সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা হকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মাজার জিয়ারতের পর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বেলা ৩টায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন শেখ হাসিনা।
সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিভাগের চার জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকেন।
শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে সিলেটে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও রাস্তাঘাটসহ পুরো নগরীকে সাজানো হয়েছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সিলেটের বিভিন্ন রুটে চারটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসা নেতাকর্মীদের খাবার পানির ব্যবস্থা করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সমবেত জনতার জন্য প্রায় দুই লাখ পিস ‘আধা লিটার’ খাবার পানির বোতলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরজমিনে দেখা যায়, সকালে থেকেই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের চতুর্দিকে সারিসারি করে সাজিয়ে এসব বোতল রাখা হয়েছে।
আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, জনসমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা তাদের পিপাসা পেলে পানিকষ্ট যাতে না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নেত্রীর আগমনে সিলেটের লোক উচ্ছ্বসিত। মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে সিলেট নগরীতে এসেছেন। রোদের মধ্যে তারা দীর্ঘক্ষন সমাবেশস্থলে থাকবেন। তাদের যাতে পানিকষ্ট না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু করেন স্থানীয় জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন।