স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার উপস্থিতিতে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। ঘটনার পর বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী অনুসন্ধান টিমকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। ঘটনার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গাপুরের কাঁঠালবাড়িয়া বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থকরা। ওই সময় আব্দুল ওয়াদুদ দারা কাঁঠালবাড়িয়া বাজারে গণসংযোগ করছিলেন। দারার ইন্ধনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা।

এদিকে ঘটনার সময়কার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে দারার কর্মী সমর্থকরা ওই সময় ওবাইদুর রহমানের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান করে ঘটনাটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। ঠিক একই সময় ভাংচুর করা নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে আব্দুল ওয়াদুদ দারার  গাড়ি যেতে দেখা যাচ্ছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন দেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছেন ঠিক তখনই পেশি শক্তি ব্যবহার করে আব্দুল ওয়াদুদ দারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুর রহমান। বিষয়টি লিখিত ভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী অনুসন্ধান টিমের কাছে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওবায়দুর রহমান।