স্টাফ রিপোর্টার:রাজশাহীর বাগমারা তাহেরপুর পৌরসভায় অসুস্থ, মরা, কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস হয়ে প্রায় বিক্রি করতে এসে ভুডভুডি গাড়ির চালক সহ ৪ জনকে তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ আটক করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন গরুটি অসুস্থ ছিল আমরা তাহেরপুর পৌরসভার কসাইয়ের কাছে ২২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে বিক্রয় করেছি।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় তাহেরপুর হরিতলা স্বাধীনতা চত্বর হতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন,আরিফ (৩২) পিতা রমজান আলি, মাজেদুল (২১) পিতা হায়দার আলী, মনিরুল ইসলাম (২৫) পিতা আশিদুল, সামাদ (৩৫) পিতা আলাউদ্দিন সর্ব সাং সেখারিপাড়া, নলডাঙ্গা নাটোর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়,তাহেরপুর পৌরসভার জামলই মহল্লার মৃত ইদ্রিসের ছেলে রহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রুবি খাতুন ,রহিদুল ইসলামের ছেলে ওমর আলী, খলিলুর রহমানের ছেলে হাসান মিলে রহিদুল এর
বাড়ির ভিতরে নাটোর নলডাঙ্গা এলাকা হতে ২২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে আনা অসুস্থ প্রায় মরে যাওয়া গরুর জবাই করে চামড়া সরিয়ে মাংস বাহির করছিলেন।এসময় আটককৃত গরুর মালিকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রহিদুল এর বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পাঁচির টপকে রহিদুল ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ হাসানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। হাতেনাতে ধরে হাসানকে ছেড়ে দেওয়ায় এলাকার চরম ক্ষোভসৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি দাবি করে বলেন এরা যে কাজ করছে তা চরম অপরাধ।এই মাংস আমরা বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে খেয়ে থাকি। আর একজন মানুষ কিভাবে অর্থের জন্য এমন কাজ করতে পারে এদের চরম শান্তি হওয়া দরকার। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

এসময় রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী সততা শিকার করে বলেন,আমার স্বামী এই মাংস রাজশাহী শহরে বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করেন। আমার স্বামী পুলিশ দেখে পাঁচির টপকে পালিয়ে গিয়েছে।পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় মৃত জবাইকৃত গরু গর্ত করে মাটিতে পুটে রাখা হয়।

অনুসন্ধান আরো জানা যায় ,এই রহিদুল ও সহযোগীরা রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা হতে অসুস্থ রোগা কুকুরের কামড়ানো গরু কিনে বাসায় এনে জবাই করে সেই মাংস বিভিন্ন হোটেলে কম দামে বিক্রি করে থাকেন। শুধু রফিকুল নয় এমন আরো কিছু কসাই আছে যারা অসুস্থ রোগা কুকুরের কামড়ানো গরু রাতের আধারে জবাই করে জনগনকে বোকা বানিয়ে সু কৌশলে মাংস গুলো বিক্রি করে থাকে।

তাহেরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সমসের আলি বলেন,ঘটনা সঠিক আমরা খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি গরুর মাংস থেকে দূর্গন্ধ বাহির হচ্ছিল। পুলিশের সামনে এলাকার জনসাধারণ নিয়ে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে। সেই সাথে এধরণের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,রাতে ডিউটি করার সময় তাহেরপুর হরিতলা ১ জন ভুডভুডি চালক ও তিনজন ব্যাক্তিকে সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অসুস্থ প্রায় মরে যাওয়া গরু ২২ হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে তাহেরপুর এক কসাইয়ের কাছে বিক্রি করতে আসেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে সরোজমিনে গিয়ে রহিদুল ইসলামের বাড়িতে অসুস্থ গরু জবাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়।

এসময় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রহিদুল ও সহযোগীরা পালিয়ে যায় পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গরুটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।অসুস্থ প্রায় মরে যাওয়া গরুটি বিক্রি করার অপরাধে চারজনকে ১৫১ চালান দেওয়া হয়।