নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া: রাজশাহীর পুঠিয়ার ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়ে গত শনিবার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নকলের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া নানা বয়সী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বই খুলে লেখার প্রতিযোগিতা চলেছে। এ নিয়ে হতাশ ওই এলাকার সুশীল সমাজ। তাদের অভিমত টাকার জন্য শিক্ষা ও সনদ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন শিক্ষক নামধারী কয়েজন ব্যাক্তি।

সরেজমিনে গত শনিবার ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অঅর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা চলছিলো। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের প্রধান ফটকে তালা মেরে রাখা হয়। কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল হাফিজকে বিদায় দেয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে হাজির হন কনস্টেবল হাফিজ। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে বাধাদেয় এক নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা। কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে পাশ দেখতে চান ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি বাইরে বের হননি কিংবা ফোন রিসিভ করেননি। এর কিছু সময় পর কেন্দ্রে আসেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক অথবা ইউএনও’র অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া নিষেধ আছে।

জানা গেছে, পরীক্ষায় অনৈতিক সবিধা দিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও কেন্দ্র সচিব সাইদুর রহমান। এই টাকার কিছু অংশ উপরের কর্তাদেরও দেয়া হয়। এ কারনে কেন্দ্রের ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

জানতে চাইলে ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশের কোনো নিয়ম নেই। এ ধরনের বিধিনিষেধের লিখিত কোনো চিঠি দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। কেন্দ্রে নকল চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় পরীক্ষার্থী অনিয়মিত ও নানান পেশার। তারা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারেননি। তাই একটু তাদের সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে।