1. brigidahong@tekisto.com : anthonyf69 :
  2. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : delorismoffitt :
  3. : admin :
  4. sjkwnvym@oonmail.com : joellennnx :
  5. gertrudejulie@corebux.com : modestaslapoffsk :
  6. cristinamcmaster6222@1secmail.com : renetrotter53 :
২০০১ সালের নির্বাচনের এক মাসেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন হন শতাধিক আ.লীগ নেতাকর্মী - ডিবিসি জার্নাল২৪
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার রাজশাহীর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রী রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু আজ, ৩ জেলায় সতর্কতা জারি ৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ রাশিয়া থেকে সরাসরি কার্গো বিমান উঠানামা করবে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে মিয়ানমারে রেকর্ডভাঙা দাবদাহ: তাপমাত্রা ছুঁলো ৪৮.২ ডিগ্রি! রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন নিয়ে পিজিসিবির জরুরী সতর্কতা ডা. অর্ণার উদ্যোগে নিম্ন আয়ের তিন শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচিতে” তাপদাহ নিয়ে রাজনীতি না করার আহবান আসাদের দুর্গাপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পিতা-পুত্র!

N

২০০১ সালের নির্বাচনের এক মাসেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন হন শতাধিক আ.লীগ নেতাকর্মী

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে জেতার পরপরই দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থক, পেশাজীবী, প্রগতিশীল ব্যক্তি, সুশীল সমাজ ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলে পড়ে ক্যাডার বাহিনী। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় নির্বাচনের এক মাসের মধ্যেই খুন হন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।

এমনকি প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই তাদের হামলায় হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া মানুষের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের জবাই দিয়ে লাশ ফেলে রাখে যেখানে সেখানে। তাদের গুলি ও বোমাবাজিতে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো দেশ।

নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর এ বিষয়ে ঢাকার বড় হাসপাতালগুলো ঘুরে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক সংবাদ পত্রিকা। সেখানে বলা হয়, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার শিকার হয়ে আঙ্গুল, হাত-পা হারিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন অজস্র মানুষ। নতুন করে লোক ভর্তি করার মতো জায়গা নেই আর। ১৬ অক্টোবর (২০০১) এর দৈনিক সংবাদ পত্রিকার একটি সরেজমিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এরকম কিছু ঘটনা তথ্যসহ তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন নরনসিংদীর বেলাবো থানার আওয়ামী লীগ কর্মী নুরুল আমিনকে ৭ অক্টোবর বিএনপির সন্ত্রাসীরা মাথায় লাঠি দিয়ে মারে। তারপর থেকে এক সপ্তাহ পরেও জ্ঞান ফেরেনি তার। আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার কারণে রংপুরের পীরগঞ্জের প্রাণ গোপালকেও এই দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ডাক্তার বিজয় দত্ত, পটুয়াখালির আলী আকবর ও সন্দীপের ফোরকান উদ্দীনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। ৪ অক্টোবর বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিক্যাল থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ড. বিজয়কে। পরে তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বিএনপির ডাক্তাররা সেখানে আবারো হামলা চালায় তার ওপর। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে পাঠানো হয় তাকে।

বিএনপি-জামায়াতের হামলায় বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় আরও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ কর্মী শরীয়তপুরের সিরাজ, স্বরূপকাঠির চুনু, মাদারীপুরের শিবচরের মোশাররফ, শৈল কুপার বোরহানউদ্দীন, ঘাটা-ইলের আরিফ, গফরগাঁওয়ের কামরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর ৩০ নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি আবদুল বাসিত, সিলেটের মীর বাজারের তামিম, সুজানগর সাতবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হাবিবুর রহমান জিতু, নোয়াখালির বেগমগঞ্জের প্রফুল্ল কুমার দেবনাথ ও টঙ্গির শান্তিকে। বিএনপি-জামায়াতের কোপে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তারা।

ঢাকা মহানগর ৩০ নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি আবদুল বাসিত জানান, ৯ অক্টোবর বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। থানায় মামলা দিতে গেলেও নেয়নি পুলিশ।

গফরগাঁওয়ের কামরুজ্জামান বলেন, ৩ অক্টোবর বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার দুই হাতের সবগুলো আঙ্গুল কেটে নিয়ে গেছে।

সিলেটের মীর বাজারের তামিম জানান, তিনি মীরাবাজার হাইস্কুলে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। ভুয়া ভোট চ্যালেঞ্জ করায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের পরের দিন তার ওপর হামলা চালায়। তার একটি হাত, একটি পা ভেঙে দেয় এবং একটি হাতের রগ কেটে দেয়।

সুজানগর সাতবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, নির্বাচনে তিনি যেন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ না করতে পারেন এজন্য বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ভোটের আগেই তার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হাবিবুর রহমান জিতু বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর অতর্কিত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে দুই পা ভেঙে দিয়েছে।

নোয়াখালির বেগমগঞ্জের প্রফুল্ল কুমার দেবনাথকে নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে নির্বাচনের দিন সন্ধ্যাতেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা মেরে দুই পা ভেঙে দেয়।

টঙ্গির শান্তি জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার কারণে ৪ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তার দুই হাত কেটে নেয়।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর এভাবে সারা দেশের প্রতিটি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতে থাকে বিএনপি-জামায়াত। ভোটের পর এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকে বর্বরভাবে খুন করে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা, পঙ্গু করে দেয় কয়েক হাজার মানুষকে।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই নির্ববচনে জিতে এরকম প্রতিহিংসার বশে হত্যাযজ্ঞ-লুটপাট চালায় নি, আওয়ামী লীগ কখনো বর্বলতা চালায় না। বিএনপি নির্বাচনে জেতা মানেই দেশেজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাওয়া।

বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই লাশের মিছিল, আজীবন পঙ্গুত্ব বহন করে বেড়ানো মানুষগুলোর দীর্ঘশ্বাসে আজও ভারী হয়ে যায় দেশের বাতাস

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST