নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুরে অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে বৃহস্পতিবার উপজেলা চত্বরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবের আয়োজনকে প্রাণোবন্ত করতে পিঠা-পুলির বাহারি স্টল বসানো হয়। স্টল গুলোতে গ্রামীণ পিঠা-পুলির পসরা সাঁজানো হয়। দলবেঁধে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ পিঠা-পুলির স্টল ঘুরে দেখেন এবং ব্যাতিক্রমী এমন আয়োজন করায় উৎসবের আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

গরুর গাড়ি, ঢেঁকি ও যাঁতা সহ বিভিন্ন রকম বিলুপ্তপ্রায় বস্তু দিয়ে সাঁজানো হয় পিঠা উৎসব প্রাঙ্গন। দপুরে প্রীতিভোজ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা নিজেও গান গেয়ে উৎসবের আনন্দটাকে আরও উৎসবমুখর করে তুলেন। বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে সন্ধ্যায় কেক কাটা হয়।

খেজুর গাছের রস, রুটি ও হাঁসের মাংশ দিয়ে নৈশ ভোজের আয়োজন ছিলো অত্যন্ত চমকপ্রদ। পিঠা উৎসবে অংশ নেওয়া স্টল গুলো পরিদর্শন করে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানার সভাপতিত্বে জাঁকজমকপূর্ণ এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।

অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক, ইউএনও পত্নী মুস্তারী পারভিন জেসি, নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম সহ সরকারি-বেসরকারি ও আধা-সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনা জাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আগামীতেও এ ধরনের উৎসবের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইউএনও সোহেল রানা।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, পিঠা-পুলির এই উৎসব অত্যন্ত চমকপ্রদ ছিল। অফিসার্স ক্লাবের এই আয়োজন সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আগামীতেও এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।