1. brigidahong@tekisto.com : anthonyf69 :
  2. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : delorismoffitt :
  3. gkkio56@morozfs.store : doriereddick :
  4. : admin :
  5. kleplomizujobq@web.de : humbertoabdullah :
  6. sjkwnvym@oonmail.com : joellennnx :
  7. gertrudejulie@corebux.com : modestaslapoffsk :
  8. cristinamcmaster6222@1secmail.com : renetrotter53 :
সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট, প্রদীপ-লিয়াকতসহ অভিযুক্ত ১৫ - ডিবিসি জার্নাল২৪
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
রাবি শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার  স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই: এমপি বাদশা জিম্মিদশা থেকে মুক্তির একমাস পর স্বজনদের কাছে সেই নাবিকরা  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আগামীকাল রাজশাহী আসবেন দুর্গাপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট এনআইডির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২৩ মে  রাজশাহীতে র‌্যাবের অভিযানে চাঁদাবাজ চক্রের ২১ সদস্য গ্রেপ্তার মা হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক: জেলা প্রশাসক রাজশাহী মোহনপুর বাঁধের কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড়, হুমকিতে পরিবেশ পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন চেয়ারম্যান ২ প্রার্থী

N

সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট, প্রদীপ-লিয়াকতসহ অভিযুক্ত ১৫

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে র‌্যাব। চার্জশিটে বলা হয়, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খুন হন। টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকান্ডের অভয়াশ্রম তিনি গড়ে তুলেছিলেন। এ সম্পর্কে জেনে ফেলার কারণেই তাকে খুন করা হয়। গতকাল কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য দিয়ে বলেন, ইয়াবা বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ওসি প্রদীপ প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকা আয় করতেন। এর আগে সকালে কক্সবাজারের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। দুপুরে অভিযোগপত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানায় র‌্যাব। এদিকে নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ফাঁড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ ও রামু থানায় তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় সিনহা মো. রাশেদ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ওই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে র‌্যাব চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। গতকাল যে মামলাটির অভিযোগপত্র র‌্যাব দাখিল করল, সেটি কক্সবাজার আদালতে করেন সিনহা মো.  রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়ার। গতকাল বিকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ভিডিও ইন্টারভিউ চাওয়ায় প্রথমে হুমকি ও পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, হত্যাকান্ড তদন্তের ভার র‌্যাব পাওয়ার চার মাস ১০ দিন পর তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। ৮৩ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ পৃষ্ঠার এই চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেছেন তিনি। এই ১৫ আসামির মধ্যে নয়জন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য, তিনজন এপিবিএনের বরখাস্ত হওয়া সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি। ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে আছেন। একজন পলাতক। কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন তাদের নিজ নিজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার দুই আসামি  ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা জবানবন্দি দেননি।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুব স্পষ্টভাবেই একটি বিষয় সামনে এনেছেন। ঘটনার সাক্ষী, আলামত, আসামিদের জবানবন্দির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ। হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়া এবং অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেন অপর আসামি এসআই লিয়াকত আলী, মো. নুরুল আমিন, পুলিশের সোর্স মুহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন। আবার লিয়াকত আলীকে সহযোগিতা করেন আরেক পুলিশ সদস্য নন্দ দুলাল। পাশাপাশি এপিবিএনের তিন সদস্যের সহায়তায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ওই ফাঁড়ির আরও পুলিশ সদস্য সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করার এবং ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় যা বলল র‌্যাব : র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, জুলাই মাসের ৭ তারিখে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও রূপতি মিলে নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করেন। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য তারা টেকনাফে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে রূপতি ফিরে আসেন। সে সময় সেখানে বেশ কিছু দিন থাকার সময়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। তাদের কাছ থেকে ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে নানা বিষয় জানতে পারেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ বিষয়ে সিনহা ক্যামেরাসহ ওসি প্রদীপের কাছে বক্তব্য নিতে যান। সে সময়ে ওসি প্রদীপ তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যান। বক্তব্য না দিতে তাদের টেকনাফ ছেড়ে চলে যাওয়ার সরাসরি হুমকি দেন তিনি।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত দুটি কারণে ওসি প্রদীপ এ ঘটনা ঘটান। একটি হলো- ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়। অপরটি, সিনহা এ তথ্য যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানাতে পারেন। হুমকির পরেও যখন মেজর সিনহা রাশেদ তাদের ইউটিউব চ্যানেলের কাজ ও ইয়াবা অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, তখন ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটান।

চার্জশিটে এসপি মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত : র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার আগে থেকেই ওসি প্রদীপ সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন কক্সবাজার জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ। এ ঘটনা ঘটার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা, সিনহা রাশেদকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করাসহ বেশ কিছু কারণে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অপেশাদারি আচরণ করেছেন বলে মনে করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চার্জশিটে একটি সিদ্ধান্ত উপস্থাপনা করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

কী ছিল সিনহার ল্যাপটপে : র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় টেকনাফ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সেখান থেকে তারা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের ল্যাপটপ উদ্ধার করে।

চার্জশিটে অভিযুক্ত ১৫ জন : মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনায় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে র‌্যাব। গতকাল কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি মো. খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাগর দেব নামে এক পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেন। বাকি ১৪ জন কারাগারে রয়েছেন। এদিকে, মামলাটি অবৈধ দাবি করে বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর আইনজীবীর দায়ের মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানিরও নির্ধারিত দিনও ছিল গতকাল।

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST