তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা গীর্জায় আদিবাসী কিশোরীকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণকারী ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও ধর্ষককে সহায়তাকারীর মুল হোতা মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে মাহলে স্টুডেন্ট কাউন্সিল।
শনিবার বেলা ১১ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী রাজশাহী তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনের বক্তরা বলেন, ধর্ষক ফাদার প্রদিপ গেগরীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তার পাশাপাশি তাকে শালিসের নামে বিষয়টি ধাঁপাচাঁপা দেয়া চেষ্টার মুল হোতা মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
কারণ ধর্ষন যারা করে, আর যে সহায়তা করে তাদের একই শাস্তি। তাহলে সহায়তারীরা কেন ছাড় পাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অবিলম্বে কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় আনা হোন। যত দিন পর্যন্ত এদের বিচার হবে না হতো দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে বলে রবিবার ও সোমবার পুণোরাই মুন্ডুমালা বাজারে মানববন্ধন করার ঘোষনা দেয়া হয়।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখে মাহলে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র ডুমরি, সাসু রাজশাহী মহানগর সহ-সভাপতি সুবল কিস্কু , সান্তাল ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ মার্র্ডী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সাংগঠনিক সম্পাদক দিলিপ মার্ডী প্রমুখ।
তারা আরো বলেন, কামেল মার্ডির প্রত্যক্ষ সহযোগীয় ধর্ষনকারী ফাদার প্রদীপ গ্রেগরী ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। তিনি হাস্যকর সালিশ করে বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বক্তারা ভুক্তভোগী আদিবাসী কিশোরীর এবং তার পরিবারের নিরাপত্তারও দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, তানোর উপজেলার মুন্ডুমালার একটি গীর্জায় তিনদিন আটকে রেখে এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণ করে ফাদার প্রদীপ গ্রেগরী। এ ঘটনায় মামলার পর তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।