নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
মাদক নির্মূলের পদক্ষেপ হিসেবে বিয়ের আগে ডোপ টেস্ট চালু করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) কক্সবাজারে হোটেল সীগালে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (আইডিসিআরসি) এর সহযোগিতায় এবং আর্ক ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স (সিএলপিএ) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি এর উদ্যোগে আয়োজিত “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চায় উৎসাহ প্রদান” এবং “ধূমপান ও মাদকবিরোধী সভা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সুস্থ ও কর্মক্ষম মানুষই রাষ্ট্রের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হলে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সুস্থ জাতি গঠনে প্রতিটি পরিবারকে উদ্যোগী হতে হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবারকে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবে।’
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘গর্ভবতী মাকে সুস্থ রাখতে সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে, সুস্থ বাচ্চা জন্মদান নিশ্চিত করার জন্য মিডওয়াইফারী ব্যবস্থা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের ব্যবস্থা করছে রাষ্ট্র। বাচ্চা ও বাচ্চার মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্র তার সাধ্যমত ভূমিকা রাখছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গে পরিবারকে নিশ্চিত করতে হবে যেন পরিবারের প্রতিটি সদস্য নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। শরীরচর্চার মাধ্যমে মানুষের সুস্থতা, কর্মক্ষমতা ও গড় বয়স বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে চিকিৎসা খাতে রাষ্ট্রের ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে।’
মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ‘শরীরচর্চার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন এগুলো করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অবকাঠামো তৈরি করা, যেমন খেলার মাঠ, হাটার রাস্তা, মানুষকে প্রয়োজনীয় কায়িক শ্রমে বাধ্য করা যায় এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা।’
ধূমপান ও মাদকবিরোধী ভিন্ন একটি সভায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ঘোষণা হিসেবে বিয়ে, চাকরি, রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ সকল ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে দেওয়া প্রয়োজন। মাদক ও ধূমপায়ীদের জগৎকে সংকুচিত করে দিতে হবে।’
“মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি ব্যক্তির উচিৎ নিজের দেহকে সুস্থ রাখতে মাদক ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা। রাষ্ট্রীয়ভাবে মানুষকে সুস্থ্য বিনোদনের দিকে উৎসাহিত করতে হবে এবং মাদকসেবীদের রাজনীতি ও চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে হবে।’