নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানার এসআই শাহিনের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায় ও গ্রেপ্তার-বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে। এমনকি বেলপুকুর থানা এলাকা ছাড়াও চারঘাট, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর থানা এলাকায় গিয়ে সাধারণ পথচারীদের ধরে পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে ঘুষ আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরএমপির বেলপুকুর থানায় যোগদানের পর থেকেই এস আই শাহীন ঘুষ বাণিজ্য ও গ্রেফতার বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি সাধারণ পথচারীদের ধরে এনে পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ঘুষ দাবির ঘটনা ঘটিয়েছেন একাধিক। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে গেলে তিনি বলেন আমার হাত অনেক লম্বা আমাকে নেড়ে লাভ হবে না।
প্রায় এক মাস আগে নিজ থানা এলাকার বাইরে গিয়ে চারঘাট থানা এলাকাযর এক মাদক ব্যবসায়ীকে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেন তিনি। পরে দেনদরবার করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তিনি ছেড়ে দেন ওই মাদক ব্যবসায়ীকে। এছাড়া বেলপুকুর থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে মাঝেই তিনি চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ পথচারীদের তল্লাশি করে কারো কারো পকেটে ইয়াবা অথবা গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করে ঘুষ দাবি করেন। কেউ ঘুষ দিতে না চাইলে তাকে কারাগারে পাঠানোর হুমকী দেন বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি বাঁশপুকুরিয়া এলাকায় ভোর রাত ৪ টার সময় গিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ দাবি করেন তিনি। ভোর ৪ টার সময় আমবাগানের মধ্যে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ঘুষ দাবির বিষয়ে জানতে চেয়ে এক সংবাদকর্মী ফোন দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন। এখানে পুকুর খনন হচ্ছে তা আদালতের আদেশ আছে কিনা সেটা দেখতে এসেছি। ভোর ৪টায় কেন গেছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বলেন ও রকম অনেক সাংবাদিক তার পকেটে থাকে। থানার ওসি তাকে পাঠিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওসিকে গুনার সময় নাই। ওসির কাজ ওসি করবে, আমার কাজ আমি করবো। ওসির চাইতেও আমার হাত অনেক লম্বা।
এ বিষয়ে কথা বলা হলে বেলপুকুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পূণরায় এরকম কোন কাজের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ওসি আলমগীর জানান।
মতিহার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একরামুল হককে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানানো হলে তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোদ দিতে বলেন। এছাড়াও তিনি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এস আই শামীমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।