দুর্গাপুর( রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ায় বাবুল হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
১৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা উপজেলা বন কর্মকতাকে প্রধান করে ঔই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনের অনুমতি দেন।
এর আগে ১৪ মে গণমাধ্যমে ‘দুর্গাপুরে লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে নিলেন কলেজ শিক্ষক!?’
শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, বন কর্মকর্তা কে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সরজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই সহ ক্ষতির পরিমান সনাক্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা ।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ায় পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমি ভরাট করতে গিয়ে ১৩( মে) বৃহস্পতিবার রাতে গাছগুলো কেটে নেন ।
কেটে নেয়া গাছ গুলোর মধ্যে, ৫টি আমগাছ ও ৩টি রেইনট্রি কড়াই গাছ। সরকারি রাস্তার পাশে থাকা এই গাছ গুলোর কারনে তিনি জমি ভরাট করতে পারছিলেন না। গাছগুলো দামি হওয়ায় লোভ সামলাতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে নেন কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেন।
কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেন রাজশাহী নগরীর কোর্ট বুলনপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হবার পর থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেন।
পরে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার জমি ভরাট করতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়াতে গাছগুলো কেটে ফেলেছি।’ এছাড়া এক সাংবাদিক কিছু টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো তাই আমি কাউকে কিছু জানাইনি, গাছগুলো কাটা আমার অপরাধ হয়েছে।