দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষের পকেটে যাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা। এর মধ্যে অন্তত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার নানা কর্মসূচির ভাতা পাবেন ২ কোটি মানুষ।
এ খাতে সরকারের বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির প্রায় ২.৫২ ভাগ। নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন দারিদ্র্যের হার নিয়ন্ত্রণ ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখছে।
এতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগী হবে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আগামি অর্থবছরে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্দেরও শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে কী পরিবর্তন আসছে?
বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমে উপকারভোগী আগে ছিল ৫৭ লাখ ১ হাজার। চলতি অর্থবছরে ধরা হয়েছে ৫৮ লাখ ১ হাজার। ভাতার পরিমান পুর্বে ছিল ৫০০ টাকা, এখন হবে ৬০০ টাকা।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের ভাতা কার্যক্রমে উপকারভোগী গত অর্থবছরে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থাকলেও এ বছর তা বাড়িয়ে টার্গেট করা হয়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন। জনপ্রতি ভাতার পরিমাণ আগে ছিল ৫০০ টাকা, এখন হবে ৫৫০ টাকা।
প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তিঃ এ সুবিধার আওতায় থাকবে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী। ভাতার পরিমাণ প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীদের দৈনিক ভাতার হার দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হচ্ছে।
এছাড়াও দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার বাড়িয়ে ২৯ লাখ করা হচ্ছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৮৮০ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিশেষ ভাতাভোগী ২ হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৬২০ করা হচ্ছে।
অনগ্রসর জনগোষ্ঠী থেকে উপকারভোগী ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০৩ জন করা হচ্ছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ ৪ হাজার করা হচ্ছে।