নিজস্ব প্রতিবেদকঃভাঙ্গা রেল পাতের পশে লাল নিশানা নিয়ে দাঁড়ীয়ে স্থানীয় কয়েকজন দিন মজুর।নিশানা দেখে দূর্ঘটনার গন্ধ আঁচ করে চালক।ট্রেনে ব্রেক করেন,তবুও ঘটনা স্থলে এসেই থামে ট্রেন। চালক আর স্থানীয়দের বুদ্ধিমত্তা অল্পর জন্য রক্ষা পায়, আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন ও ট্রেনের পাঁচ শতাধিক যাত্রী।
২৯ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নন্দনগাছি স্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়ানী রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে নন্দনগাছী স্টেশনের দিকে এলে লাইন ভাঙা দেখে স্থানীয়রা সংকেত দিলে চালক ট্রেন থামান। পরে ট্রেনের দায়িত্বরতরা এসে রেললাইনের স্লিপার ভাঙা দেখেন। এ ঘটনায় আধা ঘণ্টার মতো ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এঘটনায় কেও হতাহত হয়নি।
ঘনার পরপরই পাকশী বিভাগের রাজশাহীর সহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর,উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী ( পিডাব্লু) ভবেশ চন্দ্র রাজবংশী দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে ভাঙ্গা রেলপাত সরিয়ে নতুন রেলপাত বসানোর পরে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিম রেলের প্রকৌশলী বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়াদাতীর্ন টেম্পারহীন রেললাইন গুলোতে ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে ট্রেন। রেল পাতের মেয়াদ ৩০ বছর হলেই তার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল ঝুকিপূর্ণ জেনেও নীতি নির্ধারকরা জেনেশুনেই মেয়াদাতীর্ন রেল পাতে ট্রেন চালাচ্ছেন। এর ফলে যেকোন সময় যেকোন স্থানের রেল পাতে ফাটল বা ভেঙ্গে যাওয়ায় স্বাবাভিক। আরও এমনটা হলে এর জন্য দায়ী রেলের প্রকৌশলী দপ্তর ও রেলওয়ের নীতিনির্ধারকেরা।
তবে,পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন অন্য কথা। তিনি বলছেন রেলপাত ভাঙ্গাটা স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষ করে শীতের সময় রেলপাতে টান থাকায় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো বলেন,রেল পাত গুলোর বয়স ৫০/ ৫৫ বছর।যা মেয়াদের ২০/২৫ বছর অতিক্রম করে গেছে ফলে কিছুটা ঝুঁকিপূ্র্ন তো বটেই।তবে যাত্রী নিরাপত্তার ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রেলপাত নিয়মিত পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।
এখানে রেল পাতের কারনে ট্রেন দূর্ঘটনা ঘটার কোন শঙ্কা নাই।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মন্ডলের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।