নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাজশাহী সিটির মেয়র হলেন তিনি।
বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট।
নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা এবং সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোট বর্জন করার পাশাপাশি বৃষ্টির বাগড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে ভোট শুরুর এক-দুই ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।
নির্বাচনে কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার তেমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
তবে বৃষ্টির কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করেন।
রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছয়জন।
এ ছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।