নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ইয়ার আলী নামে একজন শিক্ষক এবং তার পরিবারের লোকজন।
জানাগেছে, মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত দশরতুল্যা মন্ডলের ছেলে এবং ১৩৮ নং দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইয়ার আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের তফসের আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২৩) ও তারেক হোসেন (২৮),মৃত দশরতল্যার ছেলে তফসের আলী (৫৩) এবং তফসেরের স্ত্রী পারভীন বেগম (৫২) এর বিরুদ্ধে গত ২৮ আগষ্ট মান্দা থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ৫২।
এদের মধ্যে আসামী তারেক হোসেন, তফসের আলী এবং পারভীন বেগম জামিন নিয়ে এসে মারপিট,বাড়িঘর ভাংচুর ও জ্বালিয়ে উচ্ছেদ করে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বাদীর পরিবার। এমনকি তাদের অব্যাহত খুন,গুম এবং জখমের হুমকির কারণে নিজের বাড়িতে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ইয়ার আলী। এর আগেও গত ২৪ আগস্ট আসামীদের মারপিটে গুরুতর জখম হয়ে ইয়ার আলী (৫৫) এবং তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৪০) প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ফিরে এসে আসামীদের ভয়ে এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে স্ব-পরিবারে নিজ শশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
সরেজমিন আসামীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখা না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) শাহিনুর রহমান বলেন, নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মামলার বাদী পরিবার বিষয়টি অবগত নয়। তবে, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।