নিউজ ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির ঘটনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সোহাগ বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. খোকন হোসেন আবেদন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোহাগের বিরুদ্ধে দাফতরিক চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন রামপাল উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে মোংলা বন্দর থেকে বিভিন্ন দফতরে পাঠানো ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের স্বাক্ষরিত কমপক্ষে আটটি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত লোগো কলম দিয়ে কেটে পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে সোহাগের বিরুদ্ধে দাফতরিক চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন নাজমুল হাসান। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পিবিআই বাগেরহাট কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, দাফতরিক কাগজপত্রসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
ওই প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম হোসেন উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার সোহাগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের জারিকৃত ‘মুজিব শতবর্ষ’ লোগো কেটে বিকৃতি করেছেন।
এ ছাড়া তিনি সাক্ষীদের কাছে মানহানিকর ও বিকৃত কথাবার্তা বলে জাতির মানহানি করেছেন।