পাবনার ঈশরদী উপজেলার পদ্মা চরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে কলার আবাদ। পানি শুকিয়ে জেগে উঠা নদীর চরাঞ্চলের দিকে চোখ মেললেই দেখা যাবে সুসজ্জিত সব কলার বাগান। সারিবদ্ধ উচ্চফলনশীল এসব বাগানের দিকে দৃষ্টি পড়লেই যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়। উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, দাদাপুর, কামালপুর ও নবীনগর প্রভৃতি গ্রামে রয়েছে কলার ব্যাপক আবাদ।
এলাকার অধিকাংশ মানুষ কলা চাষের ওপর নির্ভরশীল। এখানে কলা চাষিদের অন্যতম রুবেল, মিলন, রাজ্জাক ও গোলজার হোসেন। কলার চাষ করে তারা সবাই আজ আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী। তবে একসময় ওই এলাকায় কলার আবাদ তেমন ছিল না। গোলজার হোসেন ৬ বছর আগে সেখানে গিয়ে প্রথম কলার চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই শুরু করেন কলার আবাদ।
৬৪ বছরের গোলজার হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর গ্রামে। তিনি কলা আবাদ করে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। এতে শুধু তিনি নিজেই স্বাবলম্বী হননি। তার ফার্মে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক শ্রমিকের। ২০০৯ সালে মাত্র ৪/৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ১০ বিঘা জমিতে প্রথম কলার আবাদ করেন তিনি। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বর্তমানে গোলজার হোসেনের কলা চাষের জমির পরিমাণ ৫শ ৪৫ বিঘা। বর্তমানে আবাদি মাঠে পড়ে রয়েছে তার প্রায় তিন কোটি টাকার ফসল। ক’দিন আগে সরেজমিন কলাবাগানে কথা হয় গোলজার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে তিনি মালদ্বীপ গিয়েছিলেন। ওই সময় কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের উপস্থাপনায় জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে তিনি কৃষিকাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ হন।