1. brigidahong@tekisto.com : anthonyf69 :
  2. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : delorismoffitt :
  3. : admin :
  4. sjkwnvym@oonmail.com : joellennnx :
  5. gertrudejulie@corebux.com : modestaslapoffsk :
  6. cristinamcmaster6222@1secmail.com : renetrotter53 :
দুর্গাপুরে আ.লীগের ১১ নেতার মনোনয়ন দৌড় - ডিবিসি জার্নাল২৪
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দুর্গাপুরে চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে পাশবিক নির্যাতন বৃষ্টি প্রার্থনায় পুঠিয়ায় ইসতিসকার নামাজ আদায় রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোলস করতে নেমে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের  তিন হেভিওয়েট নেতা দুর্গাপুরে ১২ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা দুর্গাপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ  সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মৎস্য আড়ৎ উচ্ছেদ ও জমি ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন সিরাজগঞ্জে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিম রেজা নূর দিপু চৌহালীতে সাত বছর পর শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার -২ দুর্গাপুরে কিশোর ও কিশোরী ক্লাবের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

N

দুর্গাপুরে আ.লীগের ১১ নেতার মনোনয়ন দৌড়

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৬৯৭ বার পড়া হয়েছে

দুর্গাপুর প্রতিনিধি : নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকেই মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ১১ জন। দলের প্রবীন নেতাদের পাশাপাশি এবার কয়েকজন নবীন নেতাও এ সারিতে যোগ হয়েছেন।

বিগত অন্যান্য বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ২-৩ জন মনোনয়ন চাইলেও এবার মনোনয়ন চাইছেন ১১ জন। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকার কারণেই অনেক নেতা দলের প্রভাব খাটিয়ে হিষ্টপুষ্ট হয়েছে।

এ কারণে এবার মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে নিজ ঘরানার নেতাদের ছবি দিয়ে ফেস্টুন ব্যানার সাটিয়ে নেতাদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ নেতার বাসায় গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন সকাল সন্ধ্যায়।

তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গ করে এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবার যে ১১ জন নেতা মনোনয়ন চেয়েছেন তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ফিরোজ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুকুমার রায়, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাহাদত হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আমিনুল হক টুলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক হাসানুজ্জামান সান্টু।

দুর্গাপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুর্গাপুর পৌরসভার সদর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগে একাধিকবার সাংগঠনিক পদ পেয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্লিন ইমেজ থাকায় তার মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা অন্য নেতাদের থেকে অনেকটা বেশী বলে মনে করেন পৌরবাসী।

বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন পরপর দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া দলের সাধারন সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দীর্ঘদিন দল চালাতে গিয়ে দলের মধ্যেই গ্রুপিং সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে গত ১০ বছরে পৌরবাসীকে নাগরিক সুবিধা দিতে শতভাগ সফল হননি তিনি। এ জন্য পৌরবাসী তার প্রতি কিছুটা নাখোশ রয়েছেন এবার। মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

গত জেলা পরিষদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই দিন আগে পৌরসভা থেকে একটি পিস্তল ও নগদ টাকাসহ মেয়র তোফাজ্জলসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইন শৃংখলা বাহিনী দাবি করেছিল নির্বাচনে কালো টাকা ছড়িয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন মেয়র তোফাজ্জাল।

এ কারণে তাকেসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তিতে মেয়র তোফাজ্জলসহ গ্রেফতার হওয়া ১২ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজসহ ৭টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

এসব কারণ বিবেচনা করলে আসন্ন নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন বলে মনে করছেন পৌরবাসী। মনোনয়ন প্রত্যাশী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ফিরোজ দলীয় পদে থাকার পাশাপাশি জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য পদেও রয়েছেন তিনি। যেহেতু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনেই জেলা পরিষদ ও পৌরসভা। সেহেতু নির্বাচনে তাকে অংশ নিতে হলে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

এছাড়া ওই পদে আবারও সরকারকে পুণরায় উপ-নির্বাচন দিতে হবে। তাতে সরকারের ব্যাপক টাকা খরচ হবে। এমনকি তিনি মনোনয়ন পেলে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে তার পদত্যাগ পত্রটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে গ্রহণ নাও হতে পারে। এ থেকে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টা অনেকটা ক্ষীন।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলীর বিরুদ্ধেও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে পৌর মেয়র তোফাজ্জলের সাথে তিনিও গেফতার হয়েছিলেন। প্রথম দিকে খুব জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও আপাতত তিনি সেই প্রচার প্রচারনা থেকে সরে এসে নীরব ভুমিকা পালন করছেন।

পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুকুমার রায়ও অনেকটা ক্লিন ইমেজে আছেন। তবে নেতাকর্মীদের শতভাগ সমর্থন না থাকা ও আর্থিক ভাবে কিছুটা অস্বচ্ছল হওয়ার কারনে মনোনয়ন দৌড় থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছেন।

উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি সাহাদত হোসেন নিজেকে মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেও কোনো প্রচার প্রচারনা তিনি চালাননি। উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মেয়র পদে মনোনয় চেয়ে দৌড়ঝাপ করলেও মাঠ পর্যায়ে তেমন প্রচার প্রচারনা চালাননি তিনি।

তবে দলীয় হাইকমান্ড নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আমিনুল হক টুলুও মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধেও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে। মামলা গুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেনও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তরুণ নেতা হিসেবে এবারই প্রথম তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। প্রচার প্রচারনাতে তিনি নবীন-প্রবীন নেতাদের চাইতে এগিয়ে আছেন। তবে দল কতটুকু তাকে মূল্যায়ন করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থক হাসানুজ্জামান সান্টু বিগত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে দলীয় হাইকমান্ড তার প্রতি কিছুটা বিব্রত রয়েছেন।

আসন্ন দুর্গাপুর পৌর সভার মেয়র পদে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি এ নিয়ে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি পৌরসভার সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও এক ধরনের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা কাজ করছে। মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ইতিবাচক নেতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে কাকে দিবেন দলীয় মনোনয়ন বা নৌকা প্রতীক দিবেন তা দেখতে আগামী ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওইদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুর পৌরসভার নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারী। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি। আর ভোট গ্রহণ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST