বৃহস্পতিবার (১ জুলাই,২০২১) দিবাগত রাত ১২:১০ টায় কদমতলী থানার রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন কদমতলী থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের কারণে ভিকটিম নাছরিনের সাথে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভিকটিম ও তার মেয়ে নাবিলা কদমতলী থানার শনির আখড়া দনিয়া গোয়াল বাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১৮ মে,২০২১ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ০৭:৩০ টায় ভিকটিম বাসা হতে বের হয়ে আর ফিরে আসে নাই। এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ জুন,২০২১ কদমতলী থানায় অপহরন মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে কদমতলী থানা পুলিশ।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর পিপিএম জানান, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ হতে সংগৃহীত ছবি ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। এরপর অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে কদমতলী রায়েরবাগ এলাকা হতে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাই এর সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন গত ১৮ মে সন্ধ্যা ৭টায় আব্দুল হাই এর ফোনকলে শপিং ব্যাগ হাতে ভিকটিম বাসা হতে বের হয়ে আসে । গ্রেফতারকৃতরা সুকৌশলে ভিকটিমকে প্রাইভেটকারে তুলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরান। পরবর্তীতে তারা ভিকটিমকে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চনব্রীজ এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ভিকটিমকে হত্যা করে। হত্যার পর ভিকটিমের লাশ ব্রীজের উপর হতে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ লালবুর রহমান পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হয়। গত ২১ মে নৌ পুলিশের সহায়তায় শীতলক্ষ্যা নদী হতে অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায়ও হত্যা মামলা রুজু হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো বলেন, রূপগঞ্জ থানার হেফাজতে থাকা ভিকটিমের লাশের ছবি, ভিকটিমের ব্যবহৃত ঘড়ি, ব্রেসলেট ও আংটি দেখে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা ভিকটিমের মরদেহ শনাক্ত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে মর্মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।