পাবনা প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজ শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হলে দুপুর ২টার দিকে নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরুর ঠিক কয়েক মিনিট আগে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুঁড়ছিল। এ সময় কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এর কয়েক মিনিট পর আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এ ছাড়া মাইকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়। তাদের নিষেধ উপেক্ষা করেই দুই গ্রুপে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টা তেমন কিছুই নয়, ওই পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও ঢোল বাজানো নিয়ে ছেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল, তা ছাড়া অন্য কিছু নয়। পরে শান্ত হয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।’
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি তারপরে একে-অপরকে চেয়ার তুলে মারা শুরু করে। তেমন কিছু নয়, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছিল, পরে সিনিয়ররা গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে, এই আর কি।’
পাবনার সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনে দাঁড়ানো ও শ্লোগান নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে এক ঝামেলা হয়েছিল। পরে নেতারাই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তেমন ঘটনা নয়।’