1. brigidahong@tekisto.com : anthonyf69 :
  2. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : delorismoffitt :
  3. : admin :
  4. kleplomizujobq@web.de : humbertoabdullah :
  5. sjkwnvym@oonmail.com : joellennnx :
  6. gertrudejulie@corebux.com : modestaslapoffsk :
  7. cristinamcmaster6222@1secmail.com : renetrotter53 :
ঠিকাদার-প্রকৌশলীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ গড়িমসিতে সেতুর কাজে কচ্ছপ গতি, চলাচলে ভোগান্তি - ডিবিসি জার্নাল২৪
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পাবনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫ বাঘায় ৩ ঘন্টার ব্যবধানে স্বামীর শোকে স্ত্রীর মৃত্যু দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ বাগাতিপাড়ায় কৃষি কর্মকর্তা ইয়াবাসহ আটক বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিন, মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিক দিবসে রাজশাহীতে শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সড়ক অবরোধ মহান মে দিবসে সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা দুই দফা কমার পর বাড়লো ডিজেল-পেট্রোলের দাম, রাত পোহালেই কার্যকর ”রেমিট্যান্স বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে” আরএমপি কমিশনার দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

N

ঠিকাদার-প্রকৌশলীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ গড়িমসিতে সেতুর কাজে কচ্ছপ গতি, চলাচলে ভোগান্তি

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক কুষ্টিয়া

প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের রসি টানাটানির কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের ডাকুয়া নদীর ওপর আনন্দনগর-খাগড়াবাড়িয়া সেতুর নির্মাণ কাজ। ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের এ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও কাজ হয়নি। এতে মানুষের চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ। এমন অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে সেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। ঠিকাদার বলছেন, উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত কর্মকর্তা – কর্মচারি নিয়ে বারবার সেতুর কাজ পরীক্ষা, নিরীক্ষা করতে আসে। প্রতিবার তাঁকে খুশি (টাকা) করতে হয়। খুশি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্মাণ কাজ আগাচ্ছেনা। আগামী বছরের মার্চ – এপ্রিলে কাজ শেষ হতে পারে।
তবে ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের টেকনিকাল জনবল নেই। লেবার দিয়েই কাজ চালায়। আমাদের বারবার সাইডে যেতে হয়। এতে কিছুটা কাজের বিলম্ভ হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের অন্তত ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করেন খাগড়াবাড়িয়া সেতু এলাকা দিয়ে। সেখানে আগে বাঁশের সেতু ছিল। বর্তমানে পাকা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। চলাচল সচল রাখার জন্য নির্মাণাধীন সেতুর পাশে আরেকটি জরাজীর্ণ বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বাঁশের সেতু দিয়ে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গড়িমসিতে কচ্ছপ গতিতে চলছে সেতুর নির্মাণ কাজ। কাজের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে মানুষের খুব উপকার হতো।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ কোটি দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খাগড়াবাড়িয়া এলাকায় সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। ৫৫৫ দিন মেয়াদি সেতুর নির্মাণকাজ করছেন ঢাকা উত্তরার এমএলটি এন্ড এমই এইচ জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের নাম মো. ইকরামুল হক। সেতুর নির্মাণ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হয়েছিল ৫০ ভাগ।

এরপর ঠিকাদারের আবেদনের ভিত্তিতে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে মেয়াদও শেষ হয়েছে। সেতুর প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৯ টি গার্ডারের মধ্যে ৬ নং গার্ডারের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত রোববার সকালে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক গার্ডার ঢালাইয়ে সাটারিংয়ের কাজ করছেন। মানুষ বাঁশের তৈরি জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে। সেখানে প্রকৌশলী কর্তাদের দেখা মেলেনি।

এবিষয়ে পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য বাদল বিশ্বাস বলেন, ‘ কাজের মেয়াদ হয়েছে, কিন্তু সেতু নির্মাণ হয়নি। ঠিকারদার – প্রকৌশলীর গড়িমসিতে কাজ আগাচ্ছেনা। মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা দ্রুত সেতুর কাজ শেষ চাই।’

কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সাহেব আলী বলেন, ‘ দুই উপজেলার ১০ থেকে ১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। পান্টি নামকরা বাজার হওয়ায় শৈলকুপার অধিকাংশ কৃষক মালামাল নিয়ে যাওয়া আসে। কিন্তু সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ সেতু না হওয়ায় হেটে চলাচল করা লাগে। বাঁশের সেতু দিয়ে চলতে গিয়ে গাড়িঘোড়া উল্টে যায়। মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ হলেই ভাল হয় আমাদের।’

এবিষয়ে ঠিকাদার মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘ উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত কর্মকর্তা – কর্মচারি নিয়ে বারবার সেতুর কাজ পরীক্ষা, নিরীক্ষা করতে আসে। প্রতিবার তাঁকে খুশি (টাকা) করতে হয়। খুশি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্মাণ কাজ আগাচ্ছেনা। আগামী বছরের মার্চ – এপ্রিলে কাজ শেষ হতে পারে।’

তবে ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ঠিকাদারের টেকনিকাল জনবল নেই। লেবার দিয়েই কাজ চালায়। আমাদের বারবার সাইডে যেতে হয়। এতে কিছুটা কাজের বিলম্ব হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ‘

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST