নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূয়া পুলিশ নিয়োগের মামলায় ১০ আসামীর বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা দিয়েছেন আদালত। দন্ডিত আসামীরা পরস্পর যোগসাজশ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে দুই যুবককে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। মংগলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিত্বীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ রায় দেন।
আগেই গ্রেফতার হওয়া দুই যুবক লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে তাদের সন্দেহাতীতভাবে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুই যুবক ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এস আই গোলাম রসুল বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২০১৮ সালের ৫ মার্চ এজাহার নামীয় ৯ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আসাদুল্লাহ আল গালিব নামের এক আসামী আগেই আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে দাখিল করা অভিযোগ পত্র, সাক্ষীদের আদালতে প্রদত্ত সাক্ষ্য, এক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী এবং পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর মংগলবার ১০ আসামীর বিভিন্ন মেয়াদে সাঁজা দেন। আসামীদের মধ্যে সালাম, মনিরুল, আনোয়ার মাস্টার ও তাজেরুন মেম্বার সহ প্রত্যেককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এছাড়া আসামী সেতু, তরিকুল, মোরশেদ, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আমিন আলী ও শ্রী ফুলচান সিংহ সহ প্রত্যেককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। মামলার অপর আসামী মোকাররমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্র পক্ষের কৌশুলী জানান, দীর্ঘ দুই বছর বিচারকার্য শেষে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন আদালত। এ ধরনের রায় ভূয়া নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের জন্য অশনিসংকেত।