নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার রাতের প্রথম ভাগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতের দিকে সিত্রাংয়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে। এখন এটি দেশের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট অতিক্রম করছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সারা দেশে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুইজন এবং নড়াইল এবং বরগুনায় একজন করে নিহত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামীকাল মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৫ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।