নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন। মঙ্গলবার ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা করলে আদালত তাকে ক্ষমা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং সি.আর ৭৪/২০২০ (ভোলাহাট)। মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের এই আদেশের পর তিন বার ধার্য তারিখ পার হলেও উপজেলা চেয়ারম্যান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেননি কিংবা সময় প্রার্থণা করেননি। এর ফলে বাদী পক্ষ উল্লেখিত সময়ে আদালতে হাজির হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন মর্মে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়।
এ কারনে ২৯ নভেম্বর আদালত ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন। এই আদেশের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম হুমায়ুন কবীর আবেদন আমলে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ক্ষমা করে দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দেন।