নিজস্ব প্রতিবেদক:সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এমন বার্তা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (সেক্রেটারি অব স্টেট) কাছে পৌঁছে দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
আগামী ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা রয়েছেন ড. মোমেনের। সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সফর প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা খুব ভাগ্যবান, কারণ পর পর তিনবার তার দাওয়াত পেলাম।
নির্বাচন নিয়ে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাপ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমেরিকাও চায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই।
তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স করেছি। আগে ভুয়া হতো। এখন যেন না হয়, সে জন্য আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, তারাই নির্বাচন করবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান। সরকার অবশ্যই কমিশনকে সাহায্য করবে।
সব রাজনৈতিক দলের সাহায্য ছাড়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন করব। কারও অন্য ধরনের কোনো চিন্তা থাকলে ভুল চিন্তা। আমরা সংবিধান ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশকে অন্য দেশের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনর মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছি। ৭০-৭১ সালে যখন গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যাত হয়, তখন আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছে গণতন্ত্র সমুন্নত করার জন্য। সে কারণে আমাদের অন্যদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের হাঁড়ে হাঁড়ে। আমাদের রক্তেই গণতন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু দেশ আখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ। তারা আমাদের বড় বিনিয়োগকারী দেশ। সেখানে আমাদের অন্যতম রপ্তানি গন্তব্য।
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ করার বার্তা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।