নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর চারঘাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাবার হাতে ছেলে খুন হয়েছে। মেয়েদের নামে জমি লিখে দেন বাবা আব্দুল কুদ্দুস। এই নিয়ে দুই ছেলের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল বাবার। সেই জমিতে চাষ করা পাট তুলতে গিয়ে বাবার হাতে খুন হন ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের হুজারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন ঝিকরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের বড় ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনেরা দুই ভাই। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁদের বাবা আব্দুল কুদ্দুস আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই পক্ষের দুই মেয়ে রয়েছে। কয়েক মাস আগে কুদ্দুস আলী দুই মেয়ের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এর জের ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীর হোসেন হুজারপাড়া বিলের জমিতে পাট কাটতে যান। এ সময় আব্দুল কুদ্দুস এবং তাঁর দুই মেয়ে জামাই শনির আলী ও মনির আলী পাট কাটতে নিষেধ করেন। এ সময় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তিনজন মিলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই রাজীব আলী বলেন, ‘জমিতে আমরা দুই ভাই পাটের আবাদ করেছি। পাট কাটতে গেলে আমার বাবা তাঁর দুই মেয়ের জামাইকে সাথে নিয়ে বাধা দেন। এ সময় প্রথমে আমার বাবা হাঁসুয়া দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় কোপ দেয়। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্যরাও কোপানো শুরু করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভাইয়ের মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, জমির বিরোধে জাহাঙ্গীর হোসনে খুন হয়েছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নিহতের বাবা আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়েছে।