নিউজ ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে সাংবাদিক নির্যাতন
সাংবাদিকদের কলম থামাতে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডারদের প্রেস ক্লাব দখল, মামলা নেয়নি পুলিশ।
২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বরের জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে জানা যায় নড়াইল জেলার কালিয়ায় প্রেসক্লাব দখল করে জোটসমর্থিত ছাত্রনেতা। কর্মরত সাংবাদিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় চিহ্নিত কিছু ছাত্রনেতা। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিন দিন পরেও মামলা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন।
এমনকি প্রেসক্লাবটি দখল্মুক্ত করার চেষ্টাও করেনি তারা। এতে করে এলাকার সাংবাদিকদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয় এবং এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অনেকেই। প্রায় দেড় মাস পরেও তারা বাড়ি ফিরতে পারেননি বলে অক্টোবর মাসের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
১৯ মে’র পত্রিকায় জানা যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাংবাদিক নামধারী জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা প্রেস ক্লাব দখল করে। প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নামে পুরোনো সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতন নির্বাচন করে শিবিরের ক্যাডারদের দিয়ে কমিটি গঠন করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সেই কমিটির সদস্যরা প্রেস ক্লাব দখল করে নেয়।
২৫ মে তারিখে প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায় বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান শেখের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রেসক্লাব দখল করার চেষ্টা চালায়। প্রেসক্লাবের জমিকে নিজের বলে দাবি করে জোরপুর্বক দেয়াল তুলতে শুরু করে।
স্থানীয় সাংবাদিকেরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়। মূলত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস নিয়ে রিপোর্টের কারণে সংবাদকর্মীদের ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল শাজাহান শেখ।