শনিবার (২২ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। আজ রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা। তারা সকলেই আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
শনিবার বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক সমিতির নামে ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। অন্যদিকে একইদিন বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ সময় উভয়পক্ষ উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলুসহ অনন্ত ৩০ জন আহত হন।
পরে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদি হয়ে মামলা করেন।
বাঘা থানার (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শাহিনুর রহমান পিন্টুর মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।