দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ দুর্গাপুর পৌরসভার সাফল গাছি গ্রামের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ দিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর হোসেন।
গতকাল শনিবার তার নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েএলাকার সাধারণ মানুষের পানি সংকট দেখে গভীর নলকূপ বসিয়ে দেন। কোন প্রতিশ্রুতি নয়, অসহায় মানুষের কষ্ট দেখে পানির সংকট দূর করে দিয়েছেন।
আগামীতে পৌর সভার অবহেলিত সাফল গাছি গ্রামের পানি, রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ সহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা করে দিবেন বলে জানান আলমগীর হোসেন।
এসময় মনোনয়ন প্রত্যাশী আলমগীর হোসেন বলেন আগামীতে দুর্গাপুর পৌরসভা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। পৌরবাসী ঘরে বসেই পৌরসভার সেবা পাবেন। কষ্ট করে পৌর বাসীকে নেতাদের কাছে ছুটে যেতে হবে না। আগামীতে মেয়র হলে পৌরবাসীর ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।
এদিকে সাফলগাছির প্রতিবন্ধী মকবুল হোসেন বলেন, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই এলাকায় কোন নেতার দেখা মেলেনি। এলাকার সাধারণ মানুষ কিভাবে চলাফেরা করে কিভাবে বসবাস করে তার কোন খোঁজও কেউ রাখেনা। পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত গ্রাম সফলগাছি। গ্রামের মধ্যে নেই কোন রাস্তাঘাট নেই কোন পানির সুব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এমনকি নেই কোন কর্মসংস্থানের জায়গা। কোন রাজনৈতিক নেতা বা পৌরসভার কোন প্রতিনিধি খোঁজ নেন না। আজ সাফলগাছি গ্রামের সাধারণ মানুষ সত্যিই আনন্দিত। এলাকার সাধারণ মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিশুদ্ধ পানি। যা প্রতিশ্রুতি ছাড়াই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করে দিলেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগামী পৌর মেয়রের মনোনয়ন যেন পান আলমগীর হোসেন। সাফল গাছির সাধারণ মানুষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কথা কখনোই ভুলবে না।
এদিকে সাফল গাছি গ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গ্রামটি সত্যিই অবহেলিত। দীর্ঘদিন থেকেই এই গ্রামের বিশুদ্ধ পানি, রাস্তাঘাটের দুরবস্থা। কোন প্রতিশ্রুতি ছাড়াই হঠাৎ করেই আলমগীর এলাকায় প্রবেশ করে পানির ব্যবস্থা করে দেন। সত্যিই তার প্রতি মুগ্ধ।
এমন সৎ ও আদর্শবান নেতা যদি আগামীতে পৌর মেয়রের দায়িত্ব নেন তাহলেই সম্ভব অবহেলিত গ্রামগুলোর উন্নয়ন। তবে চারিদিকে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এবার আলমগীরের নাম শোনা যাচ্ছে। যদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তাহলে আগামী পৌরসভার দায়িত্ব সঠিক নেতার হাতে পড়বে বলে মনে করি। অল্প সময়ের মধ্যেই সে পৌরবাসীর মন জয় করে ফেলেছেন।