নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুরে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় ৬ আওয়ামী লীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা মোতাবেক দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ওই ৬ আওয়ামী লীগ নেতাকে তাদের স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন, নওপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম, কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আকবর আলী, পানানগর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, ঝালুকা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাহার আলী মন্ডল এবং জয়নগর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সমসের আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের গত ২ নভেম্বর ২০২১ তারিখের পত্রাদেশের প্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদেরকে একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিচ্ছেন। বিধায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬ আওয়ামী লীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেবেন এবং প্রচার প্রচারণায় অংশ নিবেন তাদেরকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদেরকেও দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আবেদন করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন সহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি একেএম শামসুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোতালেব মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান মিঠু ও সাবেক সাধারন সম্পাদক শরিফুজ্জামান।