নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর চারঘাটে আধিপত্য বিস্তার করতে মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন দুই গ্রামের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গ্রাম দুটি হলো চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর ও পাশের পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দি। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। দীঘলকান্দি গ্রামের দুই যুবককে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম রেজাউল ইসলাম (৫৫)। চারঘাটের শিবপুর গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম মৃত হালিম উদ্দিন ওরফে হাকিম। শনিবার বেলা ৩টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল পুলিশ বক্স তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেয় পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের কয়েকজন যুবক। এনিয়ে দুই গ্রামবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চারঘাট ও পুঠিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপরও দুই গ্রামবাসী দুইপাশে মারমুখি অবস্থান নেয়। শনিবার সকাল থেকে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম জানান, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় আপোষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সমঝোতা বৈঠক চলাকালীন দীঘলকান্দি গ্রামের আখতার আলীর ছেলে সবুজ আলী ও একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আবু শামা দেশিয় অস্ত্র হাতে শিবপুর গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেশিয় অস্ত্রসহ সবুজ ও আবু শামাকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।