তানোর সংবাদদাতা: রাজশাহীর তানোরে রাস্তায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৮জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় ১৭জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংক্ করছেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী থানার অভিযোগ ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, তানোর উপজেলার চুনিয়া পাড়া গ্রামের ইদ্রিশ আলীর পুত্র মাহাবুর রহমানের বাড়ির পার্শে¦র রাস্তা দিয়ে কয়েকটি পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আজিমুদ্দীনের পুত্র মাসুন রানা ও আতাউর রহমান তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে ওই রাস্তায় বেড়া দিয়ে রাস্তার যাতায়াত বন্ধ করছিলেন। এমতাবস্থায় মাহাবুর ও তার পুত্র রকি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার প্রতিবাদ করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, আলমগীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন সহ ১৫/২০জন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায় এবং মাহাবুর (৩৮), সাইদুর রহমান (৪২), সেতাউর রহমান (৪০), রকি (১৮) মাহাবুরের ফুফু সাবিনা (৫০) ও জুলেখা (৪০), মাহাবুরের ভাবি মুরসেদা (৩৫) মাহাবুরের স্ত্রী রোজিনা (৩৭) কে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট কওে আহত করে। এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এর মধ্যে রকি’র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে রকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংক্ করছেন এলাকাবাসী। এঘটনায় গত শনিবার (১৬ই মে) রাতে ইদ্রিশ আলীর পুত্র মাহাবুর রহমান বাদি হয়ে আতাউর রহমানসহ ১৭জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।