নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে কারাগারে গেলেন রাজশাহীর এক মাদ্রাসা ছাত্র। তিনি আলিম পরীক্ষার প্রথম দিনে রোববার রাজশাহীর পবার একটি কেন্দ্রে ধরা পড়েন। দণ্ডপ্রাপ্ত ঐ ছাত্রের নাম মকবুল হোসেন। তিনি পবা উপজেলার আলীগঞ্জ মধ্যপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে। মকবুল হোসেন উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ফাজিল শ্রেনীর ছাত্র।
প্রক্সি দেয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রোববার এইচএসসি/ আলিম পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন পবা উপজেলার নওহাটা ছালেহিয়া দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিদর্শনে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার। ঐ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মকবুল হোসেন। মকবুলকে দেখে এবং তার আচরণে সন্দেহ হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের। এর পরই তার প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই এবং মকবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর পরই বেরিয়ে আসে মকবুল হোসেন আবুল হায়াত নামের এক পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিচ্ছেন। মকবুল এই তথ্য এক পর্যায়ে স্বিকারও করেন। তিনি স্বিকার করেন যে, পবা উপজেলার আলিগঞ্জ দারুস সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবুল হায়াত (রোল নং-১১৮১৯২, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১৫১৮৯১০৪১০) এর বদলে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। আসলে তিনি একটি মাদ্রাসায় ফাজিল শ্রেনীর ছাত্র। সহকারী কমিশনার অভিজিৎ সরকার জানান, বদলি পরীক্ষার বিষটি নিশ্চিত হওয়ায় এবং দোষ স্বিকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মকবুলকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে প্রকৃত পরীক্ষার্থী হায়াতকে সকল পরীক্ষা হতে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিজিৎ সরকার বলেন আসল পরীক্ষার্থী এলাকাতেই থাকেন না। তিনি ঢাকায় থাকেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে আলিগঞ্জ দারুস সুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার সুপার নূর মোহাম্মদ খানের যোগসাজস আছে বলে মনে হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।