নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মজিবুর রহমান ও কাজী ইজারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছেন।
এ রায়ের ফলে এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে না বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা একটা সুরক্ষা বিধান যুক্ত করা হয়েছিল। আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলাম। আদালত সেটি নিয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজকে রায় ঘোষণা করেছেন।’
মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারায় যেটা সংযুক্ত করা হয়েছিল, সেটিকে বেআইনি, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি বলে ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, সংবিধানের ২৭-এ (অনুচ্ছেদ) আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। কিন্তু তারপরও ৪১ (১) ধারা যুক্ত করে সরকারি কর্মচারীদের একটা সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই সংবিধান সম্মত নয়।
সরকারি চাকরি আইন,২০১৮ এর ৪১(১) এর বিধান চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট করা হয়। ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে আজকে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।