নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ: নওগাঁ সদরের উকিল পাড়ায় মোটরসাইকেল সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের লোকজন ও রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি গোপনে মীমাংসা করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কিছুউ জানানো হয়নি বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির আল ফাহাদ ডনের ছোটভাই রাফিউল শনিবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে উকিল পাড়ার ডিবি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নওগাঁ জেলা অফিসে সংযুক্ত ফিল্ড অফিসার আরিফুল ইসলাম আরিফের মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগার উপক্রম হলে উভয়েই উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে পরে আরিফ নিজেকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দেন। পরে সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে গেলেও কোন পক্ষ অভিযোগ না করায় মুচলেকা নিয়ে মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয়া হয়।

সোমবার নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বিষয়টি মীমাংসা করতে এনএসআই অফিসে গেছিলেন বলেও সূত্রে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহাম্মেদ বলেন, রাফিউল ছাত্রলীগের কেউ নন। তবে তার বড় ভাই আল ফাহাদ ডন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। তবে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানান ছাত্রলীগের এই নেতা।

এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিছক ভুল বুঝাবুঝি। তারা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন।