নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈশ্বিক জলবায়ুর আঞ্চলিক অভিঘাত ও নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ যেমন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বরেন্দ্র অঞ্চলে এর জন্য ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে যেমন অস্বাভাবিক খরা, তীব্র তাপদহ বেড়েছে। তেমনি হঠাৎ বা অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে অস্বাভাবিকতা ও বেড়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর)
রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স এ আয়োজিত নগরের প্রান্তিক মানুষের জন্য জলবায়ু ন্যায্যতায় করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় এবং আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমান নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। তিনি বলেন- জলবায়ু পবির্তনে বাংলাদেশ যেমন সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি এর প্রভাব কিছু অঞ্চলে অনেক বেশি পড়ছে। যার মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চলও একটি। এখানে তাপদহ , অনাবৃষ্টি এবং অসময়ে অতিবৃষ্টি বেড়েছে। যা নগর জীবনসহ গ্রামীণ জীবনে আমাদের কষ্ট বাড়িয়ে তুলেছে। রোগবালাই বেড়েছে, আবার আমাদের কৃষকের শস্য ফসল নষ্টসহ ফসল ফলাতে কৃষক বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহাত তাসনিম বলেন- জলবায়ু পরির্বতন একটা দুর্যোগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে আমাদের মাঝে। আমাদের এই ক্ষতির জন্য সব থেকে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। তাঁদের উচিত আমাদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া। তিনি আরো বলেন বৃষ্টিতে শহরের বস্তিগুলো তলিয়ে যায়, নারী শিশুদের সব থেকে বেশি কষ্ট হয়। এগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোকসানা বেগম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো: মাহিন হোসাইনসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এ মতবিনিময় এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পত্র তুলে ধরেন বারসিক এর গবেষক মো: শহিদুল ইসলাম।