নিজস্ব প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আড়াই শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্য থেকেই নির্ধারণ হবে সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ এবং জমা দেওয়া শুরু হয়। যা ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, দুই পদে আড়াই শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬টি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন পদপ্রত্যাশীরা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনেক।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের লাখ লাখ তৃণমূল নেতাকর্মী ও মুজিব আদর্শের সৈনিকদের প্রত্যাশা ও চাওয়া-পাওয়া এতটুকুই যে, আগামীর নেতৃত্ব হবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-মিশন বাস্তবায়নে সদাজাগ্রত নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দক্ষ জনশক্তি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাবে—এমন নেতৃত্বই সবাই প্রত্যাশা করছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা লাখ লাখ নেতাকর্মীর আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং মনের ভাষা সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তিনি নিশ্চয়ই যেই নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন, সেটি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া অনুযায়ী হবে।
এর আগে, ২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী। তবে মাত্র এক বছরের মাথায় অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক নম্বর সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন মাস পর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।