কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা অবহেলার শিকার হন। সুষ্ঠ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে আজ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার সময় কুষ্টিয়া সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ভুক্তভোগী শত শত জনসাধারণ একত্রিত হয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় , হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে তারা বিভিন্নভাবে অবহেলিত প্রতারিত এবং লাঞ্ছিত হন।
ভুক্তভোগী জনসাধারণ হাসপাতালের অবহেলিত চিকিৎসা সেবার বিশেষদিক উল্লেখ করে বলেন সদর হাসপাতাল হয়ে গিয়েছে যেন দালালের আড্ডাখানা ।সাধারণ রোগীরা এখানে আসলে তাদেরকে ভুল-ভাল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অনিবন্ধিত প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা দিচ্ছেন একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেগুলোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এবং সেখানে অদক্ষ অনিবন্ধিত টেকনিশিয়ান দিয়ে রিপোর্ট করার কারণে ভুল রিপোর্ট হওয়াই ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। সেই সাথে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
শহরের অদূরে গ্রাম-গঞ্জের দূর-দূরান্ত থেকে আসা সহজ সরল মানুষগুলোকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর এমন পায়তারা চলছে নিয়মিত।
তাদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার আপন খালা গত দুইদিন আগে অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও সঠিক সময় অক্সিজেন না দেওয়ার কারণে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বলেন সঠিক সময়ে অক্সিজেন দিলে হয়তো তার খালা বেঁচে থাকতেন। তার এই আহাজারি শোনার মতো যেন কোন মানুষ নেই।
তার সাথে অন্যান্য ভুক্তভোগী জনসাধারণ একমত হয়ে বলেন, এখানকার বেশিরভাগ আয়া থেকে শুরু করে নার্স, ইন্টার্নি শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ডাক্তার যারা আছেন জনসাধারণের সাথে তাদের ব্যবহার আচার-আচরণ যেন চোর ডাকাতের মত।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা শত শত ভুক্তভোগী জনসাধারণ বলেন ইতিপূর্বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য এবং অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ করেও এর কোন সুরাহা হয়নি।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা ভুক্তভোগী জনসাধারণ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এবং সিভিল সার্জন বরাবর তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।
এরমধ্যে তাদের উল্লেখযোগ্য দাবি-দাওয়া গুলো হলো “ডাক্তারদের সঠিক সময়ে হাসপাতালে উপস্থিতি চাই”
“টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ চাই ”
“দালাল মুক্ত হাসপাতাল চাই”
” সরকারি ওষুধের সুষ্ঠু বন্টন চাই”