নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোর্টের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অকুতোভয়, দাড়িয়ে থেকেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় যার লক্ষ। দুঃসাহসী বীরের নাম হুমায়ুন কবির।
হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলার প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। তিনি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপজেলা বা থানার আমলী আদালতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন করার জন্য যেকোনও আদেশ দিতে পারেন।
পুলিশ তদন্ত সহ আইনের প্রয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপের বিবরণ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দাখিল করে। তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) ধারা অনুযায়ী তার এখতিয়ারাধীন অঞ্চলে সংঘটিত যেকোনও অপরাধ আমলে নিতে পারেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধের তদন্ত ও আইনের প্রয়োগ সহ যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবাবদিহি করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান মোতাবেক প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে উপজেলার পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কিনা বা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা তা নজরদারি করেন। মোটকথা, উপজেলার সমস্ত বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের।
নিয়োগঃ- সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৫ ও ১৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন ও বদলি করে থাকেন।
এখতিয়ার ও ক্ষমতাঃ- সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করতে পারেন।
রিমান্ডঃ- বাংলাদেশের সংবিধান এর ৩৩(২) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারা অনুযায়ী পুলিশ কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের সময় হতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থাপন করবেন। তিনি গুরুতর বা সূত্রবিহীন (Clueless) অপরাধের ক্ষেত্রে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭(১) ধারা মোতাবেক ১৫ দিন পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দিতে পারেন।