বৃহষ্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। এর পরপরই অর্থমন্ত্রী তার বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এর আগে বেলা ১২টায় সংসদ ভবনেই শুরু হওয়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় বাজেটের অনুমোদন নেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটের শিরোনাম ঠিক করেছেন ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’। উত্থাপিত ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটটি জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি।
এদিকে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।বাজেট প্রস্তাবনায় পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
এবার আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। শেষ পর্যন্ত বাজেট ঘাটতিও ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতে ধরা হয়েছে।
মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এটি ৫ শতাংশ ধরা হতো। টাকার অংকে যা ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদিশিক ঋণ নিতে চায় ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ঋণ নিতে চায় ৫ হাজার কোটি টাকা।