নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামীতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন হতে হবে। এটা এখন বিশ্বও বলছে। সরকার যদি সোজা পথে না আসে তবে অতীতের মতো গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন ঘটবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
মোশাররফ বলেন, এ সরকারের লোকেরা সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করে প্রাসাদ বানাচ্ছে। তারা সবকিছুতেই সিন্ডিকেট করছে। আজকে বিদেশি গবেষণা সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। দেশে আইনের শাসন নেই, সুশাসন নেই, মানবাধিকার নেই। যে কারণে আমেরিকা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারকে হটানোর বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। কোনোমতেই এই সরকারের অধীনে বিএনপি ও সমমনারা নির্বাচনে যাবে না। এই সরকারের অধীনে ভোট হলে কী হবে তা সবারই জানা। তারা আবারও ইভিএমে ভোট দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের আন্দোলন ও জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন ইভিএম বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে কারও নিরাপত্তা নেই দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তারা ৭২ থেকে ৭৫ সালে রক্ষীবাহিনী করে হাজার হাজার তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল। ঠিক একইভাবে আজকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর কী রকম নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা দেশবাসী জানে।
সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বারোটা বেজে গেছে। রোজার মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বী দামের কারণে দেশের মানুষ অসহায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ আরও বেশি অসহায়। দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই। এসব পুনরুদ্ধার করতে হলে আগামী দিনে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।