1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. dbcjournal24@gmail.com : ডিবিসি জার্নাল ২৪ : ডিবিসি জার্নাল ২৪
  3. christygreenfelder1813@mailbab.com : gladisboser1 :
  4. mrsjodywuckertii519@mailbab.com : madge86w5194 :
  5. test12755392@email.imailfree.cc : test12755392 :
  6. test13436834@mailbox.imailfree.cc : test13436834 :
  7. test15775925@mail.imailfree.cc : test15775925 :
  8. test16236888@mail.imailfree.cc : test16236888 :
  9. test23094173@email.imailfree.cc : test23094173 :
  10. test23487925@mail.imailfree.cc : test23487925 :
  11. test23634997@email.imailfree.cc : test23634997 :
  12. test30346357@mail.imailfree.cc : test30346357 :
  13. test35148260@mail.imailfree.cc : test35148260 :
  14. test37683532@mail.imailfree.cc : test37683532 :
  15. test41907244@email.imailfree.cc : test41907244 :
  16. test8951644@mailbox.imailfree.cc : test8951644 :
সিডরের চেয়েও শক্তিশালী আম্পান - ডিবিসি জার্নাল২৪
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

Categories

সিডরের চেয়েও শক্তিশালী আম্পান

  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ২০০৭ সালে বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় সিডর, তাতে তছনছ হয়েছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল, প্রাণ হারিয়েছিল দুই হাজারের বেশি মানুষ।

তার এক যুগ পরে এখন যে ঘূর্ণিঝড়ের সামনে বাংলাদেশ, সেই আম্পান সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এটি সোমবার পরিণত হয়েছে সুপার সাইক্লোনে।

বঙ্গোপসাগরের জানা ইতিহাসে দ্বিতীয় সুপার সাইক্লোন হিসেবে ধরা হচ্ছে আম্পানকে। প্রথম সুপার সাইক্লোনটি ছিল ১৯৯৯ সালের উড়িষ্যা সাইক্লোন।

সন্ধ্যায় আঘাত হানবে: মঙ্গলবার শেষরাত থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উপকূলের কাছাকাছি এসে ভূমি স্পর্শ করলে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমতে থাকে। তাই শেষরাত থেকে আম্পানের শক্তি কমতে পারে। শক্তি কমে সুপার সাইক্লোন থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে আজ বধূবার বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে আম্পান।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় যখন ভূমি স্পর্শ করে তখন আস্তে আস্তে এর গতি কমে। একবারে কমে না। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আম্পানের প্রভাব থাকবে। ফলে ভোর থেকে এর গতি কমতে থাকবে। ভূমিতে চলে আসলে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে আমাদের উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। এখন সুপার সাইক্লোন থাকলেও উপকূল অতিক্রমের সময় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্ণীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আরও বলা হয়, পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা :সুপার সাইক্লোন আম্পান মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে পস্নাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দুপুর সাড়ে ১২টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘মহাবিপদ’ সংকেত :এদিকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে আজ বুধবার সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

মঙ্গরবার বিকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, বুধবার ভোর ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে। ওই সময়ে আর কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোন জেলায় কতজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে তার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে জানছি। রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের মাঠে থাকতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়পরবর্তী দ্রম্নত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সব মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মোট আশ্রয়কেন্দ্র ১২ হাজার ৭৮টি। এতে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন থাকতে পারবেন। তবে করোনার কারণে ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।

আম্পানের’ প্রভাবে বৃষ্টি :সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল, মোংলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে আকাশ মেঘলাসহ কোথাও কোথাও হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজধানীর আকাশও একই কারণে ছিল মেঘলা। রাজধানীর বেশ কয়েক জায়গায় সাড়ে ৩টার পর থেকে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভীন জানান, ঝড় যত এগিয়ে আসবে ঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশের আকাশে তত প্রকট হবে। এখন খুলনা, পটুয়াখালীসহ বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। এরপর আস্তে আস্তে প্রায় সব এলাকায়ই এর প্রভাব পড়বে। এ কারণে ঢাকার আকাশও মেঘলা। বুধবারও বৃষ্টিও হবে। তিনি বলেন, আম্পান বাংলাদেশের প্রবেশের সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে।

সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ :ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় সারাদেশে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিআইডবিস্নউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া বলে, মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশের পাঁচটি ফেরিঘাট দিয়ে কোনো ফেরি চলাচল করবে না।

ঘাটগুলো হলো- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, লক্ষ্ণীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট।

নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল গত ২৬ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পণ্যবাহী নৌযান এর আওতার বাইরে ছিল।

এখন ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় সব ধরনের নৌযান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিআইডবিস্নউটিএ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান।

খালি করা হয়েছে জেটি :প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ধেয়ে আসায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ সরানো হয়েছে। বন্দর থেকে কনটেইনার সরবরাহ চালু থাকলেও সব ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ সরানো হয়েছে। বহির্নোঙ্গরে থাকা ৬১টির মধ্যে ৫১টি জাহাজ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বন্দরের চ্যানেল ক্লিয়ার করা হয়েছে।

বন্দরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরগুলো হলো- ০৩১ ৭২৬৯১৬, ০৩১ ২৫১৭৭১১ এবং ০১৭৫১৭১৩০৩৭।

বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্দরের নিজস্ব কিছু জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে। চ্যানেলে অবস্থানরত বিভিন্ন লাইটারেজ জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে, বিশেষ করে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

স্কুল-কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র করার নির্দেশ:’সুপার ঘূর্ণিঝড়’ আম্পান মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজগুলো জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মাউশি বলেছে, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বিত তালিকা মাউশির নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাঠাবেন।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপদ্রম্নত এলাকায় যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ঘূণিঝড় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নমুনা ছকও করে দিয়েছে মাউশি।

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST