নিউজ ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি বৃদ্ধি ও রফতানি বহুমুখীকরণ, কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২০ সালের শুরু হতে চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির বিরূপ প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটজনিত কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করার ওপর সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত। বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষিখাতের যে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে তা আরও বেগবান করে অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণা ও সম্প্রসারণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন এবং সারে ভর্তুকি প্রদান চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় অগ্রাধিকার খাত হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা বরাদ্দ অব্যাহত রাখব।
অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি বৃদ্ধি ও রফতানি বহুমুখীকরণকে চতুর্থ অগ্রাধিকারমূলক খাত হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। এ জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের পঞ্চম অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা আমাদের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব সময় নিম্ন-আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারবদ্ধ এ সরকার আগামীতেও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করবে। সে ধারাবাহিকতায় নিম্ন-আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে এমনকি বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার ঘোষণার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষায় বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করছে। ফলে বিলাসবহুল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।