ডিবিসি নিউজ ডেস্কঃ
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুতের যে সংকট, শ্রীলঙ্কাতেও প্রথমে বিদ্যুৎ সংকট শুরু হয়েছিল। তারপর সেখানে কী ঘটেছে দেশবাসী তা জানেন।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও উন্নয়নের নামে হরিলুট করে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাজধনীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি না করে প্রধামন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের কুইক রেন্টাল স্থাপনা দেওয়া হয়েছে জনগণের টাকা লুটের জন্য। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামে বিদ্যুতের অভাবে রাতে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। দেশের অর্থনীতিরি মস্তবড় বিষফোঁড়া এ কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প।
তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এসে গ্যাস উত্তোলন না করে আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। এখন কয়লা, গ্যাসসহ জ্বালানি সংকটে দেশে বিদ্যুৎ সংকট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। শ্রীলঙ্কায় একটি পরিবার ক্ষমতায় থেকে উন্নয়নের নামে দেশটিকে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিল। এখন তাদের প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। বিদ্যুতের জন্য যে জ্বালানির প্রয়োজন সেটি একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এখন দিশেহারা।
সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ‘আবোল-তাবোলের’ দেশ বানাতে চাচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয়, এরা জন্মগতভাবেই মিথ্যািবাদী একটি রাজনৈতিক দল।