1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. dbcjournal24@gmail.com : ডিবিসি জার্নাল ২৪ : ডিবিসি জার্নাল ২৪
  3. leilanigutkowskijr1979@mailbab.com : barrett24e :
  4. iot1@extrastock.pp.ua : bryantming09 :
  5. christygreenfelder1813@mailbab.com : gladisboser1 :
  6. brocksandlin@1secmail.org : joeygodinez :
  7. kratos@AS10.dDNSfree.Com : kratos :
  8. mrsjodywuckertii519@mailbab.com : madge86w5194 :
  9. eloise-carner30@hotmail.com : moheloise366 :
  10. judsonbadillo@1secmail.org : oliverferri444 :
  11. mirjyskp@bfirstmail.com : opheliagholson5 :
  12. test12755392@email.imailfree.cc : test12755392 :
  13. test13436834@mailbox.imailfree.cc : test13436834 :
  14. test14023765@email.imailfree.cc : test14023765 :
  15. test14538755@email.imailfree.cc : test14538755 :
  16. test15775925@mail.imailfree.cc : test15775925 :
  17. test16236888@mail.imailfree.cc : test16236888 :
  18. test23094173@email.imailfree.cc : test23094173 :
  19. test23487925@mail.imailfree.cc : test23487925 :
  20. test23634997@email.imailfree.cc : test23634997 :
  21. test24550266@email.imailfree.cc : test24550266 :
  22. test30309026@mailbox.imailfree.cc : test30309026 :
  23. test30346357@mail.imailfree.cc : test30346357 :
  24. test31294844@email.imailfree.cc : test31294844 :
  25. test33678668@inboxmail.imailfree.cc : test33678668 :
  26. test35148260@mail.imailfree.cc : test35148260 :
  27. test37683532@mail.imailfree.cc : test37683532 :
  28. test3794188@email.imailfree.cc : test3794188 :
  29. test39960829@mailbox.imailfree.cc : test39960829 :
  30. test41907244@email.imailfree.cc : test41907244 :
  31. test42327638@inboxmail.imailfree.cc : test42327638 :
  32. test43965465@mail.imailfree.cc : test43965465 :
  33. test45567104@mailbox.imailfree.cc : test45567104 :
  34. test47741025@mail.imailfree.cc : test47741025 :
  35. test546034@mailbox.imailfree.cc : test546034 :
  36. test6676544@email.imailfree.cc : test6676544 :
  37. test7920365@inboxmail.imailfree.cc : test7920365 :
  38. test8951644@mailbox.imailfree.cc : test8951644 :
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন; বাংলাদেশের সম্পর্ক কেন এতো তাৎপর্যপূর্ণ! - ডিবিসি জার্নাল২৪
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

Categories

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন; বাংলাদেশের সম্পর্ক কেন এতো তাৎপর্যপূর্ণ!

  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ দুই যুগ ধরে চলমান মুক্তি সংগ্রামকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপান্তর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বিশ্বের বুকে চূড়ান্তভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

এরপর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন তিনি।

কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশের পাশাপাশি শিল্প-বিপ্লব, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী নতুন প্রজন্ম তৈরি, অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী ছাড়া বাকি সবাইকে নিয়ে দেশগঠনে মন দেন বঙ্গবন্ধু।

কিন্তু সেই কর্মযজ্ঞ অর্ধসমাপ্ত অবস্থাতেই, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত আন্তর্জাতিক ও দেশীয় অপশক্তির চক্রটি তাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে মাঝপথে থমকে দেয়। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর উগ্রবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে স্বৈরাচারেরা। দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের মূলমন্ত্র, বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধানের মূলনীতি, বাঙালি জাতির হাজার বছরের সম্প্রীতির সংস্কৃতির চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করে জামায়াতসহ স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলগুলো।

এছাড়া উগ্রবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান কর্তৃক অবৈধভাবে বিএনপি গঠনের পরপরই দলটি মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় স্লোগানকে নিষিদ্ধ করে দেশে, পতাকার রঙ বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা করে, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বোকা বানায় দেশের সাধারণ জনগণকে, দেশে চালু করে ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ এবং সহিংসতার রাজনীতি।

এই অপশক্তির সন্ত্রাস ও কালোবাজারির কাছে অসহায় হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ধসে পড়ে দেশের অর্থনীতি ও পঙ্গু হয়ে যায় জাতীয় সংস্কৃতি। রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।

স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের সীমাহীন সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ও নির্যাতনে অস্থির হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। দ্বিমুখী ষড়যন্ত্রে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

এরকম পরিস্থিতিতে নিজের জীবনকে বিপন্ন করে পিতা মুজিবের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে ১৯৮১ সালের ১৭মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই দলকে পুনর্জীবিত করতে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছুটতে শুরু করেন তিনি। শুরু হয় নতুন সংগ্রাম।

নব্বইয়ের দশকজুড়ে সারাদেশ সফর করে একদিকে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল থেকে যেমন গুছিয়ে তোলেন, তেমনি দেশের প্রান্তিক মানুষের জীবনমান ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন শেখ হাসিনা। ফলে ছিন্নভিন্ন আওয়ামী লীগকে যখন আপত্য-মায়ায় মেখে আবারো গড়ে তুলছিলেন, ঠিক তখনই বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনাও সম্পন্ন হয়ে যায়।

এরপর শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যতোই গুছিয়ে উঠেছে, সন্ত্রাস-লুটেরা ও উগ্রবাদীদের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে ততোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

একারণে বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগের যাত্রাপথ অনেকটা এক ও অভিন্ন।

বঙ্গবন্ধু যেমন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে, তেমনি শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণের পটভূমি রচনা করেন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর। একারণে শেখ হাসিনার এই প্রত্যাবর্তন অনেকটা বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক। বাংলাদেশের জন্য এই দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

উগ্রবাদী ও লুটপাটকারীদের থাবায় পিষ্ট ও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আবারো নবজীবন পেয়ে নবউদ্যমে অগ্রযাত্রার পথে ধাবিত হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে।

কিন্তু শেখ হাসিনা যাতে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন বান্তবায়ন করে দেশ ও মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে না পারেন, এজন্য তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের পর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কিন্তু রাখে আল্লাহ, মারে কে! অঙ্গহানি হলেও প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

এরপর শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের বাইরে রেখে দলীয় লোকদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়কের সরকার সাজিয়ে আবারো অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেন খালেদা জিয়া। ফলে সৃষ্টি হয় এক-এগারোর পরিস্থিতি। এরপর গ্রেনেড হামলায় আহত কানের ফলোআপ চিকিৎসা নিতে ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে গেলে শেখ হাসিনাকে নির্বাসন দেওয়ার অপচেষ্টা চালায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত এক-এগারোর কুশীলবরা।

কিন্তু সব হুমকি ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে ফিরে আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি। ফলে ভীত হয়র ১৬ জুলাই তাকে একটি সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। মিথ্যা মামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে জেলে ঢোকানোর পর মোট ১৩টি মামলা সাজানো হয় তার নামে।

৩৩১ দিন জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় বিচলিত না হয়ে, বরং ওই সময়জুড়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প তৈরি করেন তিনি। তীব্র জনদাবি এবং শেখ হাসিনার পর্বতপ্রমাণ ব্যক্তিত্ব্যের কাছে হার মেনে, অবশেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন তাকে মুক্তি দিয়ে সুধাসদনের বাসায় পৌঁছে দিতে বাধ্য হয় এক-এগারোর কুশীলবরা।

এরপরেই ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা করেন তিনি। বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের জন্য সব মানবিক সুবিধা নিশ্চিতের ঘোষণা দেওয়া হয় এই ইশতেহারে। এভাবেই শেখ হাসিনা বারবার ফিরে এসেছেন গণমানুষের মাঝে, প্রতিবারই নতুন করে আশার স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন গণমানুষের জন্য।

বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনার জন্যই আজ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক সঙ্কটের দিন থেকে উত্তরণ হয়ে, মানুষ এখন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে। যার প্রভাবে ব্যক্তি মানুষের পাশাপাশি স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে রাষ্ট্র হিসেবে স্বয়ং বাংলাদেশ।

এক যুগ আগের তুলনায় এখন মানুষের চাহিদার ধরণ ও চিন্তাধারা যেমন আমূল বদলে গেছে, তেমনি অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে দেশের বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তনও চোখে পড়ার মতো।

যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে আমূল বিপ্লবের ফলে সারাদেশে ইন্টারনেটের বিস্তৃতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের খাত, সর্বোস্তরের মানুষ এসেছে অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তির মধ্যে।

২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে মাত্র এক যুগের ব্যবধানে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্র থেকে ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়ে বিশ্বজুড়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। এসবই হয়েছে একজন শেখ হাসিনা আছেন বলে।

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST