1. brigidahong@tekisto.com : anthonyf69 :
  2. mieshaalbertsoncqb@yahoo.com : delorismoffitt :
  3. gkkio56@morozfs.store : doriereddick :
  4. : admin :
  5. kleplomizujobq@web.de : humbertoabdullah :
  6. sjkwnvym@oonmail.com : joellennnx :
  7. zpmylwix@oonmail.com : lela88146910269 :
  8. gertrudejulie@corebux.com : modestaslapoffsk :
  9. hellencardona@lingeriefashion.store : phillip6900 :
  10. cristinamcmaster6222@1secmail.com : renetrotter53 :
  11. mild@dewewi.com : sheldon37s :
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম: - ডিবিসি জার্নাল২৪
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক কোটা আন্দোলনকারীদের কোটা আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনে পদ্মা গর্ভে বিলীন শতাধিক বসতবাড়ি রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা মঙ্গলবার রাসিক মেয়রের সাথে নবনিযুক্ত রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে:প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ যুব সমাজকে রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান কোটা সংস্কারের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান টেকসই উন্নয়নে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করতে হবে- প্রতিমন্ত্রী আ.ওয়াদুদ  কোটার হার পরিবর্তন করতে পারবে সরকার, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

N

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম:

  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর দুর্যোগ নেমে আসে বাঙালি জাতির ভাগ্যে। গণগ্রেফতার ও দমনপীড়ন চলতে থাকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর, হত্যা করা হয় হাজার হাজার সদস্যকে।

এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেও কিংকর্তব্যবিমুঢ় করে দেওয়া হয় মহান মৃক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ওঁত পেতে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী মোশতাক চক্র খুবলে খেতে শুরু করে সদ্য স্বাধীন শিশু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে।

এরপর নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে খুনি জিয়াউর রহমান এবং স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ, দেশের সরলপ্রাণ মানুষদের ধোঁকা দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের বিষবাস্প ছড়ায় তারা। মানবিক সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে শুরু হয় জঙ্গিবাদের উত্থান।

স্বৈরশাসকদের শোষণ ও অপশাসনে অতিষ্ট জনগণ মুক্তির জন্য হাঁসফাঁস করতে শুরু করে। এরকম একটি চরম ক্রান্তিকালে বাঙালি জাতির আশার বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসন জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর আগে দল বাঁচানোর স্বার্থে ও জনতার দাবির মুখে (ফেব্রুয়ারি মাসের কাউন্সিলে) শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তাকে।

ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী ছয় বছরে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ও প্রেরণা পায়। বৃষ্টিমুখর সেই জ্যৈষ্ঠের দিনে ঢাকার রাস্তায় ঝুম ভেজা হয়ে লাখ লাখ মানুষ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনাকে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাংলা।

স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চেপে দেশের মাটিতে পা রেখেই বাঙলার গণমানুষকে নিজের স্বজন হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। অকৃত্রিম ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বুকে টেনে নেয় আপামর বাঙালি। একই সঙ্গে দীর্ঘ ছয় বছরের অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বৈরাচার ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে আবারো নবজীবন লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর কয়েক বছর ধরে সারা দেশের প্রতিটি প্রান্ত ঘুরে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তব জীবনচিত্র উপলব্ধি করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, একই সঙ্গে বহুমুখী প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নতুনভাবে সুসংগঠিত করে তোলেন পিতা মুজেবর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগকে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকে তীব্র স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে ওঠে দেশে। এসময় একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনাকে, প্রাণ ঝরে শতাধিক নেতা-কর্মীর। কিন্তু বুলেট-বোমার ভয়ে দমে যাননি তিনি, বরং জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরো জোরদার করেন। ফলশ্রুতিতে পতন ঘটে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার।

কিন্তু সুক্ষ্ম কারচুপি ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে সংখ্যায় বেশি ভোট পেয়েও আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলেও, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি। তখন আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে বিরোধী দলের আসনে বসে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শেখ হাসিনা। ফলে বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় গণতন্ত্র বাস্তবায়নে বাধ্য হন খালেদা জিয়া।

এরপর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জনগণকে নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার সামাজিক আন্দোলনে নামেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
রাজপথে শেখ হাসিনার সাহস ও জনপ্রিয়তা দেখে ভীত হয়ে পড়ে খালেদা জিয়ার সরকার।

একারণে স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের লোক দেখানো ভোটের স্টাইলে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি নাটকীয় ভোট করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে বিএনপি। কিন্তু আবারো তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও ভোট ব্যবস্থাপনার ইতিহাসকে স্বামী জিয়াউর রহমানের মতোই আরো একবার কলঙ্কিত করেন তিনি। এরপর জুন মাসের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। অদম্য শেখ হাসিনার হাত ধরে দীর্ঘ ২০ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই (১৯৯৯ সালে) খাদ্য উৎপাদনে প্রথমবারের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

১৯৯৭ সালে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য সম্পাদন করেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি। সরকার গঠনের পর ১৯৯৬ সালেই নিশ্চিত করেন গঙ্গা নাদীর পানির ন্যায্য হিস্যা। এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিঃস্বার্থ সেবাদানের কারণে ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ মোকাবিলার মডেলে পরিণত করেন বাংলাদেশকে।

দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ববাসীর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হয় শেখ হাসিনার কারণেই। সব হারানোর ব্যথা নিয়ে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে নবজীবন দানের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকেই আবার নতুন করে জাগিয়ে তোলেন তিনি।

আরো সংবাদ পড়ুন

Designed by: ATOZ IT HOST