স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাণেশ্বর এলাকায় অবস্থিত শহীদ নাদের আলী স্কুল কলেজ চত্বরে থাকা রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমানের নাম ফলক ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের খোদ সভাপতি মাহবুব আলম ওরফে বাবু শেখের বিরুদ্ধেই। এ ঘটনায় চাপা উত্তেজনা চলছে ওই এলাকায়।
জানা গেছে, ২০২০ সালে শহীদ নাদের আলী স্কুল ও কলেজের ঊর্ধমুখী ভবন সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডঃ মনসুর রহমান। উদ্বোধনের দিন কলেজ চত্বরে নাম ফলক স্থাপন করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর সকালে কয়েকজন শ্রমিক গাছ কাটার কথা বলে নাম ফলকে ভাংচুর শুরু করে। বিষয়টি দেখে বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্রমিকরা জানায়, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাহবুব আলম ওরফে বাবু শেখের নির্দেশে গাছ কাটার জন্য নাম ফলক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ও-ই শিক্ষক বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজের অধ্যক্ষকে মোবাইল ফোনে জানালে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন কাজ বন্ধ করে শ্রমিকদের চলে যেতে বলেন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে জানাজানি হলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গাছ কাটার অজুহাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যর নাম ফলক ভাঙচুরের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
কলজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, কলেজ চত্বরে কৃষ্ণচূড়ার একটি মরা গাছ রয়েছে। ওই গাছটি বিক্রির জন্য মিটিং হয়েছে। বিষয়টি অফিসিয়ালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিংবা বন কর্মকর্তাকে জানানো হয়নি। তার আগেই সভাপতির লোকজন গাছ কাটার কথা বলে এমপি মহোদয়ের নাম ফলক ভাঙচুর করেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক দাবি করে তিনি বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানকে জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাহবুব আলম ওরফে বাবু শেখ বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। নামাজগ্রাম এলাকার নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির সাথে গাছ বিক্রির কথা হয়েছে। তবে ওইদিন এভাবে গাছ কাটতে যাবে বা এমপি মহোদয়ের নাম ফলক ভাংচুর করবে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।