সূত্র মতে, রোববার দুপুরে গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। দুপুর ২টার দিকে তিনি গণভবন থেকে বের হয়ে আসেন। এর পর তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে রাজশাহীর নেতৃবৃন্দকে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে কে নির্বাচন করবেন তা নিয়ে আলোচনার জন্য দলীয় প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন খায়রুজ্জামান লিটন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী সিটিতে খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো মেয়র পদে নির্বাচন করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এবারও আমি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করছি। সোমবার দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবো এবং মঙ্গলবার জমা দিবে। এর পর রাজশাহী ফিরে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করবো।
এদিকে, দেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন রাজশাহী নগরীর রুপকার ও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা খ্যাত এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবার মেয়র পদে নির্বাচন করছেন কি না এ নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে আলোচনা চলছিল। কেউ বলছিলেন তিনি মেয়র নির্বাচন করবেন আবার কেউ বলছিলেন এবার তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। এ নিয়ে তিনি নিজেও কিছু বলেন নি এতোদিন। তিনি শুধু বলেছেন দলীয় প্রধান তাকে যেখানে চাইবেন সেখানে নির্বাচন করবেন।
তবে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুটি কয়েক নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকে এমপি পদে মনোনয়ন এবং সিটিতে বিতর্কিত এক নেতাকে প্রার্থী করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে দলীয় প্রধানের কাছেও না প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে গুনজন ছিল। মূলত: এ সব কারণে মেয়র লিটন এবার সিটিতে নির্বাচন করছেন কি না তা নিয়ে দিধায় ছিলে নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আপাতত রাজশাহী সিটিতে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প নেই। আমার জানা মতে, দলীয় প্রধান তার (লিটন) প্রার্থীতা চুড়ান্ত করেছেন। তাকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দলীয় প্রধান তার (লিটনে) কথা বলেই দিয়েছেন সে ক্ষেত্রে আর কারও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সম্ভাবনা নেই।