নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে এই কর্মসূচী শুরু হয়েছে। কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নাল আবেদীন শিবলী ও বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও তোফায়েল হোসেন রাজ।
আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন সরকার টিটু ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, সদস্য সচিব আশরাফ আলী ও মহানগর তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য আরিফুল শেখ বনি।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ মহানগর ও জেলা থেকে আগত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাজশাহী মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচীতে এসে যোগ দেন। কর্মসূচীতে তারা উল্লেখ করেন এই ফ্যাসিস্ট হায়নারুপি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বৈষম্য আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের একদতফা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপরে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীসহ শত শত আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে। সেইসাথে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনতাকে আহত করেছে। তুবুও শেষ রক্ষা না হওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছে ভারতে। কিন্তু ভারতেও তাকে এবং তার দোসরদের থাকতে দেয়া হবেনা। তারা যে দেশেই থাকুকনা কেন দেশে এনে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে উপল্লেখ করেন তারা।
শাহীন শওকত বলেন, এই দেশ কারো বাবার নয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন এ দেশ তিনি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছেন। কোনদিন তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হবেনা। কিন্তু এখন শুধু ক্ষমতা নয় দেশ ছেড়ে তাঁকে পালাতে হয়েছে। স্বৈরচারদের এমন অবস্থাই যুগে যুগে হয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন তারা। তারা আরো বলেন, রাজশাহী আওয়াশী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সেই ক্ষমতাধর নেতারা কই। কাউকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছেনা।
তারা বলেন, যে যে ভাবে পারে প্রান বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ও দেশের অর্থ লোপাটকারী সালমান এফ রহমান দাঁড়ি কেটে চুলে কালার করে মাঝি সেজে দেশে থেকে পালাতে গিয়ে আটক হয়েছে। শুধু তিনিই নন আইনের মাস্টার, তিনি শুধু আইন জানেন, আর পৃথিবীর কেউ আইন জানেন না,এরমনভাবকারী সেই আইনমন্ত্রীও নৌ-পথে পালানোর সময়ে আটক হয়েছে।
এরশাদ আলী ইশা বলেন, আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের যারা এই পনের বছরে অন্যায় অত্য্যাচার করেছে। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণকে হত্যা করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের আইনের আওয়াতায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার একভাবে একই স্থানে একই রকম কর্মসূচী পালিত হবে বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।