নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক ধনবান ব্যক্তি বা নেসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ।ফিতরা দেওয়া ও ফরজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের রোজা শেষ হওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতে বলেছেন।
ইসলামে বলা আছে, সমাজের দরিদ্র-অনাথ এবং নিজের গরীব আত্মীয় ও প্রতিবেশীকে দেয়াটাই অধিক উত্তম।অর্থ্যাৎ নিজের আশেপাশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে যাকাত-ফিতরা দেওয়া উত্তম।
বর্তমানে চিত্রটা ভিন্ন দেখা যায় যেখানে লক্ষ্য করা যায় কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংগঠন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের এর নামে যাকাত-ফিতরার টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করছে।
আজ তুলে ধরছি এমন এক প্রতিষ্ঠানের কথা যারা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য যাকাত-ফিতরার টাকা তুলে তা কোথায় যাচ্ছে?
প্রথম আলো বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় পত্রিকা।তাদের ভেরিফাইড পেইজ থেকে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য যাকাত-ফিতরার টাকা তুলছে পোস্ট বুষ্ট করে।এই নিয়ে নতুন সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
রাকিব নামের একজন লিখেন,,যারা ধনী ব্যক্তি যাদের টাকা-পয়সা রয়েছে তারা তাদের আশেপাশের দরিদ্র পরিবারকে না দিয়ে কেন এই প্রতিষ্টান গুলোতে দিবে টাকা।
মুহাম্মদ করিম নামের একজন লিখেন,,ইসলামে বলা আছে আশেপাশের দরিদ্র পরিবারকে যাকাত-ফিতরার টাকা দেওয়ায় উত্তম।
প্রথম আলোর এই যাকাত-ফিতরার টাকা তুলা নিয়ে,,এক অনুসন্ধানে জানা যায়,,বিএনপি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে এবং বিভিন্ন ফান্ড ও ট্রাস্ট গঠন করে সেই টাকাও নিজেদের পকেটস্থ করেছে। এমনকি এসব অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজাও হয়েছে।ঠিক একইভাবে প্রথম আলোও গরিবের হক খেয়ে ফেলছে এমনটাই জানা গেছে অনুসন্ধানে।
ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে আইন ভঙ্গ করে ঢাকার লালমাটিয়ায় নয়তলা ভবন করেছেন প্রথম আলোর সম্পাদক। বাড়িটির নাম ‘লুৎফু ভবন’। ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রাখা হয়েছে ৩০০ বর্গমিটার জায়গা।মানুষের জন্য টাকা তুলে ২০০৮ সালে ৭৬টি ব্যবসার মাধ্যমে আর্থ ফাউন্ডেশন কয়েকশ’ কোটি টাকা জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মতি ও তার ছেলে।
এইভাবে সিম্প্যাথি দেখিয়ে মানুষ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রথম আল।এইসব টাকা নামে বেনামে রয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান,,ছেলে শসা এবং তার স্ত্রীর নামে।
সচেতন মহলরা জানিয়েছে, বর্তমানে যাকাত-ফিতরার টাকা নিয়ে ব্যবসা করছে একটি মহল।এইসব মহল থেকে দূরে টাকার অনুরোধ রইল ধনী ব্যক্তিদের।